বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল: বরিশালে বিসিএস পরীক্ষার্থী সাদিয়া সাথীর মৃত্যুর ঘটনায় সাদিয়ার স্বামী জেলা ডিবির কনস্টেবল মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে পুলিশ।
রোববার বিকেলে বরিশাল মহানগরের কোতয়ালী মডেল থানায় সাদিয়ার বাবা সিরাজুল হক মৃধা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিমুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আজিমুল করিম জানান, সাদিয়া সাথীর বাবা আজ বিকেলে থানায় লিখিত এজাহার দিলে সেটা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
তার মামলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় ডিবির কনস্টেবল মাইনুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।
ওসি বলেন, সাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। দোষী যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এর আগে রোববার সকালে বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবে মেয়ের মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে বরিশাল মহানগর পুলিশ কোনো সহযোগিতা করছে না উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করেন সাদিয়ার বাবা সিরাজুল হক মৃধা। এসময় তিনি ন্যায় বিচার পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সিরাজুর হক অভিযোগ করেন, সাতদিনেও মাইনুলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের আওতায়ও আনেনি পুলিশ। আমরা জানতে পেরেছি পুলিশ হাসপাতালে মাইনুলকে আত্মগোপনে রাখা হয়েছে।
সাদিয়ার বাবা আরও দাবি করেন, ঘটনার দিন ডিবির কনস্টেবল মাইনুল নিজেই ফোন করে সবাইকে সাদিয়ার মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল। যদি মাইনুল সেখানে না থাকতো তাহলে কিভাবে জানলো সাদিয়া মৃত্যু হয়েছে?
সিরাজুর হক বলেন, মেয়ের এমন মৃত্যু একজন বাবার জন্য কতটা কষ্টের তা কাউকে বোঝাতে পারবো না। আমি পুলিশ-প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
খুনি মাইনুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আমার মেয়ের হত্যার ন্যায়বিচার পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এর আগে গত ৭ মার্চ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বৈদ্যপাড়ার একটি ভবনের ৫ তলা থেকে সাদিয়া সাথীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এক বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেন সাদিয়া ও বরিশাল জেলা ডিবির কনস্টেবল মাইনুল ইসলাম। এরপর থেকেই বরিশালের বৈদ্যপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন তারা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন