একজন নীরব স্বপ্নদ্রষ্টা যদি জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়ে নীরবে বিদায় নিতে চান, তবে তার প্রস্থানকে স্বাগত জানানো উচিত। যখন তার বিদায়ের ক্ষণ আসবে, তখন তাকে সম্মান জানানোই শ্রেয়। নির্বাচন হোক বা না হোক, এ নিয়ে ট্রল করা তৃতীয় পক্ষের কাছে ভিন্ন বার্তা বহন করতে পারে।
বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, কারণ এর সংবিধানে 'গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার' এই কথাটি লেখা আছে। এ দেশের নেতা নির্বাচিত হন, তা সে তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমেই হোক অথবা সত্যিকারের ভোটের মাধ্যমে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে নেতা নির্বাচন করা যায় কিনা, তা আমার জানা নেই।
এই সরকার একটি বিপ্লবের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যদিও জাতি কোনো বিপ্লবী সরকার গঠন করেনি। এই সরকার জনগণের সরকার কিনা, তা বলা কঠিন, কারণ কোনো গণভোট অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে আমরা সাধারণ জনগণ মনে করি, সরকার সত্যিই জনগণের জন্য অনেক কাজ করছে এবং বাংলাদেশকে একটি উন্নত বিশ্বের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে আমাদের যা করা উচিত তা হলো, অতি উৎসাহিত না হয়ে সরকারের পক্ষে অযৌক্তিক আলোচনা-সমালোচনা না করে তাদের কর্মক্ষেত্রে সহযোগিতা করা। এটি আমাদের নৈতিক দায়িত্ব বলে আমি মনে করি।
আজকে যারা অতি উৎসাহী হয়ে সরকারের গুণকীর্তন করছেন এবং কিছুদিন পরেই সরকারের সামান্য ব্যর্থতায় তাদের সমালোচনায় মুখর হবেন, এ ধরনের মানুষদের থেকে আমাদের দূরে থাকা উচিত।
সরকারের গুণকীর্তন অবশ্যই করা উচিত, তবে তা তখনই যখন সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। তখন আপনারা নির্বাচিত সরকারের সাথে অনির্বাচিত সরকারের তুলনা করে তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে পারবেন যে আপনারা কিভাবে দেশ চালান এবং আগের সরকার কিভাবে দেশ চালিয়েছে।
অতএব, আসুন আমরা আবেগ পরিহার করে বিবেক দিয়ে বিচার করি এবং দেশের উন্নয়নে সহায়ক হই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন