বরিশালের টাইমস, জাতীয়, রাজনীতি, অর্থনীতি, সারা বাংলা, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, চাকরি, বিনোদন, সাতসতেরো, ক্যাম্পাস, অন্যান্য

Breaking

বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফ্যাসিবাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের কিছু কথা

 বর্তমানে দেশের অর্থনীতি এক গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বিভিন্ন মহল থেকে নানা ধরনের প্রস্তাবনা আসছে। এই আলোচনার মাঝে, একটি বিতর্কিত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল নিয়ে আলোকপাত করা যেতে পারে: আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পুনরায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া

💸 মূল প্রস্তাবনা ও অর্থনৈতিক যুক্তি

​অনেকের মতে, বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট নিরাময়ের জন্য একটি ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা জরুরি। এই কৌশলের মূল ভিত্তি হলো— আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের পাচারকৃত অর্থের একটি অংশ দেশের অর্থনীতিতে ফিরিয়ে আনা




​এই যুক্তির সমর্থনে যে বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে:

  • পাচারকৃত অর্থের প্রত্যাবর্তন (Partial Repatriation): একটি বহুল প্রচারিত অভিযোগ রয়েছে যে, বিভিন্ন মহল থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশ থেকে পাচার হয়েছে। যেহেতু এই অর্থ পাচারের ঘটনায় শাসক দলের কিছু অংশ জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে, তাই তাদের পুনরায় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিলে, নির্বাচনে জয়লাভ বা ক্ষমতা ধরে রাখার প্রচেষ্টায় তারা পাচারকৃত অর্থের কিছু অংশ দেশে ফিরিয়ে এনে নির্বাচনী প্রচারে ব্যয় করতে পারে। এটি সম্পূর্ণ অর্থ না হলেও, হাজার হাজার ডলারের একটি অংশ অর্থনীতিতে প্রবেশ করবে।
  • নির্বাচনী ব্যয়ের মাধ্যমে জনগণের পকেটে অর্থ: একটি জাতীয় নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা, কর্মী সমাবেশ, পরিবহন এবং বিভিন্ন স্থানীয় কাজে প্রচুর অর্থ খরচ করেন। এই অর্থগুলো সরাসরি সাধারণ মানুষ, ছোট ব্যবসায়ী এবং নির্বাচনী কাজে যুক্ত কর্মীদের হাতে পৌঁছায়। অর্থনীতির ভাষায়, এই নির্বাচনী ব্যয় এক প্রকার স্টিমুলাস বা উদ্দীপক হিসেবে কাজ করতে পারে, যা আপাতকালীনভাবে হলেও সাধারণ জনগণের পকেটে কিছু টাকার সঞ্চালন ঘটাবে।

✅ সম্ভাব্য ফলাফল

​যদিও এই প্রস্তাবনা নৈতিক বা রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত হতে পারে, তবে সংকটের সময়ে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এর ফলাফলগুলো বিবেচনা করা যেতে পারে:

  1. বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ (Forex Inflow): নির্বাচনের উদ্দেশ্যে বিদেশ থেকে কিছু ডলার দেশে প্রবেশ করলে তা সাময়িকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর চাপ কমাতে সহায়তা করতে পারে।
  2. জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি (Temporary Spending): নির্বাচনী ব্যয়ের মাধ্যমে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের হাতে নগদ টাকা পৌঁছালে বাজারে সাময়িকভাবে কিছু ক্রয়ক্ষমতা বাড়তে পারে, যা ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে সামান্য গতি দিতে পারে।

​এই কৌশলটি দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক সমাধানের বিকল্প নয়, বরং বর্তমান সংকট নিরসনে একটি আপাতকালীন, বাস্তবসম্মত এবং কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Pages