এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: মাঘের শুরুতেই সবজির দামে হাঁসফাঁস গেরস্ত। এর মধ্যে সবথেকে বেশি দুশ্চিন্তার কারণ আলু। গত দেড় দশকে বছরের এই সময়ে নতুন এতটা বেশি কবে ছিল, তা মনে করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। বুলবুল এবং তার পরে দিনকয়েকের টানা বৃষ্টিতে আলু চাষ সময়মতো শুরু করা যায়নি বলে ফলন কমেছে। এর ফলে মাঘের শুরুতে কলকাতার বাজারে ২২ থেকে ২৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে নতুন পোখরাজ আলু। অন্তত দিন দশ-বারোর আগে পরিস্থিতির বিশেষ হেরফের হওয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করছেন আলু ব্যবসায়ী থেকে সরকারি অফিসাররা। এর উপরে বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মটরশুঁটি থেকে বিনসের চড়া দামে অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। রাজ্যের কৃষি বিপণন দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, বাঁকুড়া, বীরভূমের ময়ূরেশ্বর ২, মুর্শিদাবাদের বড়ঞাঁ ছাড়াও মশাগ্রাম, জামালপুর এবং উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায় বেশি পরিমাণ নতুন হয়। এ বছর বুলবুল এবং বৃষ্টিতে প্রথম দফায় যে আলুর চাষ হয়েছিল, তার অনেকটা ক্ষতি হয়েছে। তার পরেও মাঠ ভিজে থাকায় আলু চাষ শুরু হয়েছে দেরিতে। পরে যে আলুর চাষ হয়েছে, তা এখনও ওঠেনি। হিমঘরে মজুত আলুও শেষ। পাঞ্জাব থেকেও অনেক কম আলু আসছে। এর ফলেই এ বছর আলুর দাম এতটা চড়া। একই কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। আরও পড়ুন: অন্য বছর এ সময়ে নতুন আলু খুচরো বাজারে বিক্রি হয় ১৪ টাকায়। এ বার পাইকারি বাজারেই দাম ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি। মেদিনীপুরের আলু ব্যবসায়ী বরেন মণ্ডল বলেন, ‘দাম চড়া হলেও চাষিরা আলুর ভালো দাম পাচ্ছেন না। এখন কেজি প্রতি তাঁরা পাচ্ছেন ১৬-১৮ টাকা।’ সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এই সময়ে ভালো দাম মেলায় একসঙ্গে সব আলু তুলছেন না চাষিরাও। কারণ এই আলু হিমঘরে রাখা যাবে না। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির লালু মুখোপাধ্যায় জানান, জোগানে ঘাটতি থাকায় দাম বেড়েছে আলুর। তবে যে সব কৃষক প্রথম দিকে আলুর চাষ করেছিলেন, তাঁদের ২০-২৫ জানুয়ারির মধ্যে তা তুলতে হবে। ফলে বাজারে বাড়বে জোগান। করলা, ঝিঙে, ঢেঁড়শের মতো গ্রীষ্মকালীন সব্জিগুলির চাষ শুরু হবে। সে কারণে দিন দশ-বারো পরে আলুর দাম খানিকটা কমতে পারে। বৈঠকখানা বাজারের সব্জি ব্যবসায়ী সুনীলকুমার গুপ্তা, কোলে মার্কেটের অজিত দাস, সমীর ঘোষরা মেনে নিচ্ছেন, শীত জুড়েই সব্জির দাম যথেষ্টই চড়া ছিল। এখনও কলকাতার বাজারে প্রমাণ সাইজের একটি ফুলকপির দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা। বাঁধাকপির কেজিও ২৫ টাকার কম নয়। বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রীর টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানান, সব্জির জন্য চাষি যে দাম পাচ্ছেন, তার সঙ্গে পাইকারি বাজারের দামে বিশেষ ফারাক নেই। কিন্তু পাইকারি ও খুচরো বাজারের দামের মধ্যে অনেকটাই বেশি ফারাক থেকে যাচ্ছে। আরও পড়ুন:
from Bangla News: বেঙ্গলি খবর, Latest News in Bengali, Breaking News In Bengali, সর্বশেষ সংবাদ | Eisamay https://ift.tt/2G2826U
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন