বরিশালের টাইমস, জাতীয়, রাজনীতি, অর্থনীতি, সারা বাংলা, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, চাকরি, বিনোদন, সাতসতেরো, ক্যাম্পাস, অন্যান্য

Breaking

বুধবার, ২৯ মে, ২০১৯

দলাই লামার সঙ্গে কথার মার্কিন আহ্বান খারিজ চিনের

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: গত ১৯ মে থেকে ২৫ মে তিব্বত পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ব্র্যানস্ট্যাড। সে সময়ই তিনি আর্জি জানান, ‘সমস্যা সমাধানের জন্য দলাই লামা কিংবা তাঁর কোনও প্রতিনিধির সঙ্গে যেন কোনও পূর্বশর্ত ছাড়াই অর্থপূর্ণ আলোচনায় বসে চিন সরকার।’ অন্তত তেমনই দাবি মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্রের। এতেই অবশ্য শেষ নয়। মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মচর্চার ক্ষেত্রে যে ভাবে চিন সরকার হস্তক্ষেপ করে তাতেও ওই একই দিনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ব্র্যানস্ট্যাড। পুরো বিষয়টি নিয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাং-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে সে দেশের ধর্ম সংক্রান্ত নিয়মনীতি সম্পর্কে জানানো হয়। এ-ও বলা হয়, তিব্বতে ঠিক কতটা আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে। পাশাপাশি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলে দেওয়া হয়, ‘দলাই লামার সঙ্গে যোগাযোগের ব্যাপারে চিন প্রশাসনের সরকারি নীতি ঠিক কী, তিব্বত নিয়ে ঠিক কতটা এক্তিয়ার রয়েছে বিদেশিদের। তিব্বতের বিষয়ে যে কোনও বিদেশি হস্তক্ষেপের ঘোরতর বিরোধী বেজিং, সে কথাও জোর দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।’ লু অবশ্য পরে এ-ও বলেছেন, ‘সমস্ত কথা শোনার পর রাষ্ট্রদূত আতিথেয়তার জন্য চিনকে ধন্যবাদ জানান, এমনকী তিব্বতের আর্থ-সামাজিক উন্নতির জন্য প্রশংসাও করেন। এ-ও বলেন, ওই পরিদর্শনের ফলে যে তিব্বত সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পাওয়া গিয়েছে সে কথাও জানান বলেন ব্র্যানস্ট্যাড।’ তিব্বতে কূটনীতিবিদ ও সাংবাদিকদের প্রবেশ এতদিন নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু চলতি বছরের গোড়ার দিকে আমেরিকা আইন পাশ করে, যদি মার্কিন নাগরিক, সরকারি আধিকারিক এবং সাংবাদিকদের তিব্বতে যেতে না দেওয়া হয় তাহলে পাল্টা একই পদক্ষেপ করবে তারা। তার পরই ব্র্যানস্ট্যাডের তিব্বত-পরিদর্শনের সুযোগ মেলে। ২০১৫ সালের পর এই প্রথম কোনও মার্কিন রাষ্ট্রদূত তিব্বতে পা রাখার সুযোগ পেলেন। প্রসঙ্গত, তিব্বত-সমস্যা নিয়ে দলাই লামার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আগে কথা বলেছে চিন। শেষ এই আলোচনা হয়েছে ২০১০ সালে। কিন্তু ফলপ্রসূ হয়নি।

from Eisamay http://bit.ly/2YUG1Ww

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Pages