এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটে বিপর্যয়ের দায় নিয়ে দলের সভাপতি রাহুল গান্ধী পদত্যাগের সিদ্ধান্তে অনড়। একাধিক রাজ্যের দলীয় সভাপতি পদত্যাগ করেছেন। তবে প্রদেশ কংগ্রেস সোমেন মিত্র পদত্যাগ করবেন না। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে সোমেনের এই অবস্থান স্পষ্ট করলেন কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য।সোমেন নিজে সাংবাদিক বৈঠক করবেন বলে ঘোষণা করেও মঙ্গলবার আচমকা সেই সিদ্ধান্ত বদল করে প্রদীপ ভট্টাচার্যকে সাংবাদিক বৈঠক করতে পাঠান। রাহুল গান্ধীর অফিস থেকে এক প্রতিনিধি দেখা করতে আসায় এই সিদ্ধান্ত বলে প্রদেশ নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়। সোমেন নিজে সাংবাদিক বৈঠক এড়িয়ে গেলেও তিনি পদত্যাগ করবেন কি না, সে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে বিধান ভবনের নেতৃত্বকে। প্রদীপ ভট্টাচার্যের যুক্তি, ‘সোমেন মিত্র কয়েক মাস হল সভাপতি হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে পরিবর্তন সম্ভব নয়। এর মধ্যে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া সম্ভব নয়।’ রাহুলের নেতৃত্বর উপরেও আস্থা ব্যক্ত করেছেন প্রদেশ নেতৃত্ব। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রাহুল সভাপতির পদ ছাড়তে চাইলেও প্রদীপ বলেন, ‘রাহুল গান্ধী পদত্যাগ করতে চেয়েছেন। যদিও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে লড়াই করতে হবে। তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু জয়ী হতে পারেননি।’নির্বাচনী বিপর্যয় নিয়ে পর্যালোচনা করতে প্রদেশ কংগ্রেসের কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা হয়েছে। তার আগে প্রদেশ নেতৃত্ব কবুল করছেন, বামেদের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা হলে রাজ্যে কংগ্রেসের ফল ভালো হত। সিপিএম বহরমপুর ও মালদা দক্ষিণ আসনে কংগ্রেসকে সমর্থন করায় অধীররঞ্জন চৌধুরী ও আবু হাশেম খান চৌধুরী জয়ী হয়েছেন। সে কারণে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রকাশ্যে এ দিন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটকে ‘ধন্যবাদ’ জ্ঞাপন করেছেন।লোকসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস সমঝোতা না-হলেও আগামী দিনে সেই রাস্তায় যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। ইতিমধ্যে ওমপ্রকাশ মিশ্র-সহ কংগ্রেসের একাংশ প্রকাশ্যেই বলতে শুরু করেছেন যে, বাম-কংগ্রেস সমঝোতা হলে রাজ্যে বিজেপির উত্থানকে ঠেকানো যেত। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গকে বাড়তি গুরুত্ব দিলেও কংগ্রেস হাইকম্যান্ড পশ্চিমবঙ্গকে খরচের খাতায় ফেলে রেখেছে। দীপা দাশমুন্সি, শঙ্কর মালাকার-সহ যে নেতারা জোটের বিরোধিতা করেছিলেন, ভোটে তাঁদের বিপর্যয় হয়েছে। জোট প্রসঙ্গে প্রদীপ বলেন, ‘সিপিএমের সঙ্গে জোট করতে চেয়েছিলাম, হলে ভালো ফলাফল হত। জোট না-হলেও আদর্শগত লড়াইতে সিপিএম পাশে থেকেছে। তাই আগামী দিনে নতুন করে ভাবতে হবে।’ আগামী বছরে রাজ্যে পুর নির্বাচন রয়েছে। সেই নির্বাচনে ‘নতুন ভাবনা’ নিয়ে এগনোর ইঙ্গিত দিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
from Eisamay http://bit.ly/2HJQTkk
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
Author Details
I am an Executive Engineer at University of Barishal. I am also a professional web developer and Technical Support Engineer.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন