এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: এ বার বরাকর স্টেশনে এক যাত্রীর কাছ থেকে এক কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল আরপিএফ। সোমবার সন্ধ্যায় মুম্বই-হাওড়া মেলে বরাকর স্টেশনে নামেন ওই যাত্রী। প্ল্যাটফর্ম থেকে সিঁড়িতে ওঠার মুখে সন্দেহ হওয়ায় আরপিএফ কর্মীরা ওই যাত্রীর ট্রলিব্যাগ খুলে দেখেন। তখনই এক কোটি টাকা উদ্ধার হয়। আয়কর দপ্তরের হেফাজতে রাখা হয়েছে ওই টাকা। সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে ব্যক্তিগত বন্ডে ছেড়ে দিয়ে এই বিপুল পরিমাণ টাকার কাগজপত্র আনতে বলা হয়েছে। এ নিয়ে গত দু’সপ্তাহে তিন কোটি টাকার বেশি বাজেয়াপ্ত করেছে আসানসোল রেল পুলিশ ও আরপিএফ। এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই টাকার উৎস সম্পর্কে কোনও নথি দেখাতে পারেননি যাত্রীরা।বরাকর স্টেশনের আরপিএফ ইনস্পেক্টর ইন-চার্জ নীতিন কুমার বলেন, ‘বিভাস কেডিয়া নামে এক যাত্রী ট্রলিব্যাগ নিয়ে যাচ্ছিলেন। সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কোডার্মা থেকে বরাকর আসছিলেন তিনি। তাঁর ব্যাগ খুললে দেখা যায়, আলাদা আলাদা প্যাকেটে ২৫ লক্ষ, ১০ লক্ষ লিখে টাকার বান্ডিল করা রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আয়কর দপ্তরে খবর দেওয়া হয়। দপ্তরের আধিকারিকরা এসে টাকা গুনে দেখা যায়, এক কোটি রয়েছে।’ জিজ্ঞাসাবাদে ওই যাত্রী জানান, ওই টাকা কোডার্মার একটি সংস্থার। সেই সংস্থারই কল্যাণেশ্বরী অফিসে ওই টাকা আনা হচ্ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে তিনি কাগজ দেখাতে পারেননি। নির্দিষ্ট কাগজ দেখাতে না পারলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে সূত্রের খবর।এর আগে ১৪ মে আসানসোল স্টেশনে সন্দেহজনক ভাবে দু’টি ব্যাগ নিয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন গৌতম চট্টোপাধ্যায় ও লক্ষ্মীকান্ত সাউ। সন্দেহ হওয়ায় তাঁদের জিআরপি অফিসে নিয়ে আসা হয়। সেখানে ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে এক কোটি টাকা উদ্ধার হয়। কোনও নথি না থাকায় গৌতম এবং লক্ষ্মীকান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। পরে অবশ্য বিজেপি দাবি করে, এই টাকা তাদের নির্বাচনের কাজের জন্য আনা হয়েছিল এবং তা ব্যবহার না হওয়ায় কলকাতায় ফেরত পাঠানো হচ্ছিল। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কয়েক দিন পরেই সিআইডি বার্নপুরের ব্যবসায়ী বজরং আগরওয়ালের বাড়ি থেকে ১৯ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে। এর মধ্যে গত ১৭ মে দুর্গাপুর স্টেশনে রেল পুলিশ সন্দেহজনক ভাবে সুরেশপ্রসাদ বর্মন নামে বেনারসের এক বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর কাছ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। ওই যাত্রী নিজেকে সোনা ব্যবসায়ী পরিচয় দিলেও বিপুল পরিমাণ টাকার কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, ভোটের আগে-পরে উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস কী। এই টাকা বড় মাফিয়ার? কারণ আসানসোল শিল্পাঞ্চলে কয়লা ও বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য রয়েছে। আবার অনেকের মতে, এমন অনেক টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে যা ধরা পড়ছে না। আসানসোল, বার্নপুর, পাণ্ডবেশ্বর, জামুড়িয়া এলাকা ঝাড়খণ্ড সীমানায় হওয়ায় এতদিন অস্ত্র পাচার হত। হিরাপুর থানার পুলিশ সাম্প্রতি এমন প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করেছে। কিন্তু নতুন করে এ ভাবে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হতেই কলাপে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পুলিশ মহলের। এক্ষেত্রে পাচারকারীরা রেলপথকেই বেছে নিচ্ছেন বলে পুলিশের অনুমান।
from Eisamay http://bit.ly/2HJQG0w
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
Author Details
I am an Executive Engineer at University of Barishal. I am also a professional web developer and Technical Support Engineer.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন