নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট চাওয়ার নামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের মাঝে অবৈধভাবে টাকা বিলাচ্ছেন কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল ইসলাম। এমন অভিযোগ করেছেন তার প্রতিদ্বন্ধী অপর কাউন্সিলর প্রার্থী মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ও বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। মনিরুজ্জামান তালুকদার টিপিন ক্যারিয়ার প্রতীকে এবং নুরুল ইসলাম ট্রাকটর প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।
গণমাধ্যম কর্মিদের কাছে মনিরুজ্জামান তালুকদার অভিযোগ করে বলেন, আমার নির্বাচনী এজেন্ট ও সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ হয়রানি ও গ্রেফতারের চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে শনিবার গভীর রাতে ইকবাল তালুকদার নামে আমার একজন একনিষ্ঠ কর্মিকে কোন ধরনের ওয়ারেন্ট ছাড়াই আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
এছাড়াও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন আল ইখওয়ান কমপ্লেক্্েরর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলাউদ্দিন শরিফ ও সদস্য অধ্যাপক হাবিবুর রহমানকে আটকের জন্য গভীর রাতে তাদের বাসা ঘেরাও করে- তাদেরকে না পেয়ে বাসার ভেতরে গিয়ে মালামাল তছনছ করে এবং মনির তালুকদারের টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকের পক্ষে কাজ না করার জন্য হুমকি দেন বিমানবন্দর থানার এসআই সুমন।
পুলিশের এই অভিযানের সাথে অভিযুক্ত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল ইসলামের সহযোগী ও একাধিক মামলার আসামী ধলু, মাহমুদ ও রনি ছিলেন- বলে অভিযোগ করেছেন মনির তালুকদার। লিখিত অভিযোগেও তিনি এসব বিষয় তুলে ধরেছেন। এবিষয়ে বিমান বন্দর থানার এসআই মো. সুমন বলেন- যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সত্য নয়।
পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির প্রতিবাদ কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল ইসলামের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।
এদিকে নির্দিষ্ট মামলার আসামী না হওয়া সত্বেও গভীর রাতে ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউন্সিলরপ্রার্থী মনির তালুকদারের কর্মি ইকবাল তালুকদারকে আটকের অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন বরিশাল বিমানবন্দর থানা ওসি (তদন্ত) লোকমান হোসেন। তিনি বলেন- বিভিন্ন মামলার সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে যে কাউকেই আটক করা যায়, আমরা সেটাই করেছি।
অভিযুক্ত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল ইসলাম বলেন- আমার বিরুদ্ধে টাকা বিলিয়ে ভোট কেনার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। আমি এখানে ২ বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর, আমাকে টাকা দিয়ে ভোট কিনতে হবে কেন?
রবিবার, ১১ জুন, ২০২৩
Home
Unlabelled
২৭ নং ওয়ার্ডে টাকায় বিলায় এক পক্ষ, হয়রানীর শিকার আরেক পক্ষ
২৭ নং ওয়ার্ডে টাকায় বিলায় এক পক্ষ, হয়রানীর শিকার আরেক পক্ষ
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
Author Details
I am an Executive Engineer at University of Barishal. I am also a professional web developer and Technical Support Engineer.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন