বরিশালের টাইমস, জাতীয়, রাজনীতি, অর্থনীতি, সারা বাংলা, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, চাকরি, বিনোদন, সাতসতেরো, ক্যাম্পাস, অন্যান্য

Breaking

বুধবার, ২২ জুলাই, ২০২০

করোনা পরিস্থিতি LIVE: আক্রান্তের সংখ্যা নয়, পজিটিভের হার কমানোই লক্ষ্য কেন্দ্রের

নিত্য বাড়তে থাকা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ করার মতো পরিস্থিতি নয় ভারতের। গোষ্ঠী সংক্রমণ নিয়ে আলোচনাও নিছক তাত্ত্বিক তর্ক মাত্র। বরং স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পর্যবেক্ষণ মানলে, এ মুহূর্তে চ্যালেঞ্জ মূলত দু'টি। প্রথমত, দেশজুড়ে যত জনের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে, তাঁদের যাতে পাঁচ শতাংশেরও কম পজিটিভ হন তা সুনিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত, আক্রান্তদের মৃত্যুহার এক শতাংশের নীচে নামিয়ে আনা। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ওএসডি রাজেশ ভূষণের সংযোজন, 'করোনায় বিশ্বে সব থেকে কম মৃত্যুহার ভারতের৷' গত এক সপ্তাহে দেশে মোট সংক্রামিতের সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ে আম নাগরিকের। শেষ ২৪ ঘণ্টাতেও ৩৭ হাজারের বেশি নতুন করে করোনা পজিটিভ হয়েছেন, মারা গিয়েছেন ৫৮৭ জন। তবে রাজেশের ব্যাখ্যা, পরীক্ষার সংখ্যা যত বাড়বে, প্রাথমিক ভাবে তত বাড়বে রোগীসংখ্যাও৷ তাঁর কথায়, 'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মে দশ লাখ জনসংখ্যা পিছু প্রতি দিন ১৪০ জনের পরীক্ষা করা প্রয়োজন৷ আমাদের দেশে এখন ফি দিন প্রতি দশ লাখে ১৮০ জনের পরীক্ষা হচ্ছে যা আরও বাড়ানো হবে৷' ফলে আক্রান্তের সংখ্যাবৃদ্ধি এ সময়ে প্রত্যাশিত। তবে এখন লক্ষ্য 'পজিটিভিটির হার' ৫ শতাংশের নীচে আনা, মত ওই উচ্চপদস্থ আমলার৷ মঙ্গলবার সকালে তা ছিল ১১.১৪ শতাংশ। কিন্তু নানা মহল থেকে মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, দিল্লি, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিস্তীর্ণ অংশে যে গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা বলা হচ্ছে, তাপর বেলা? স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতে, এ নিয়ে আলোচনা তাৎপর্যহীন। বস্তুত, বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আরও এক বার স্থানীয় সংক্রমণ তত্ত্বের উপরেই জোর দিয়েছে তারা। রাজেশের কথায়, 'যখন কোন ব্যক্তি কাকে সংক্রামিত করছেন তা ঠাওর করা যায় না, তখনই গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলা যেতে পারে৷' এ ব্যাপারে 'হু' যে কোনও নির্দিষ্ট সংজ্ঞা দেয়নি তা মনে করিয়ে তাঁর সংযোজন, আলোচনার পরিবর্তে বাস্তবে সংক্রমণ প্রতিরোধের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়াই আসল কাজ৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কথায় দেশবাসী কতটা ভরসা পাবেন, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। তার একাধিক কারণের মধ্যে শীর্ষে থাকবে দিল্লির সেরো-সার্ভের ফলাফল। তাতে স্পষ্ট, রাজধানীর ২৩ শতাংশ মানুষ ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ এঁদের দেহে অ্যান্টিবডিও তৈরি হয়ে গিয়েছে৷ তবে নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পলের আশঙ্কা, 'বাকি ৭৭ শতাংশ এখনও সংক্রমণমুক্ত যার অর্থ এঁদের দেহেও হামলা চালাতে পারে ভাইরাস।' এই পরিস্থিতিতে আরও কড়া ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন, বলে মত এই স্বাস্থ্যকর্তার৷ কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পাও বেঙ্গালুরুর বাসিন্দাদের কাছে কার্যত এক আবেদন করেছেন। আজ, লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে সেখানে। তা আর বাড়ানো হবে না জানিয়ে সহযোগিতার আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী। মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় ফের ৮৩৯৬ জন পজিটিভ হয়েছেন। গোটা দেশের এক-চতুর্থাংশ আক্রান্তই এ রাজ্যের। তবে উদ্বেগের নতুন ভরকেন্দ্র যে বিহার, তা স্পষ্ট। এ দিন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর টুইট, 'বিহারের পরিস্থিতি গুরুতর। হাসপাতালে পড়ে থাকা দেহ দেখে বোঝা যায় প্রশাসন কী ভাবে কাজ করছে সেখানে।' বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের তরফেও রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলা হয়। পরীক্ষা ও হাসপাতাল পরিকাঠামো বাড়ানো দরকার বলে জানায় কেন্দ্র। অসমের পরিস্থিতি শোচনীয়। গুয়াহাটি সেন্ট্রাল জেলে বন্দি, জেএনইউ-র ছাত্র শারজিল ইমামেরও করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে এ দিন। আড়াই মাস আগে ভাঙড়ের বামনঘাটা গ্রামে সর্ব প্রথম এক প্রসূতির দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারপর একটা দুটো করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে সোমবারই সংখ্যাটা ১০০ পার করল। কেবল মাত্র ভাঙড় ২ ব্লকেই সংখ্যাটা ১০০ পার করতেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনের কর্তাদের কপালেও। চিকিৎসকরা মনে করছেন, ভাঙড়ে গোষ্ঠী সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। বিভিন্ন প্রদেশগুলির মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। লাতিন আমেরিকার মধ্যে ব্রাজিলে আরও দু'জন মন্ত্রী আক্রান্ত, মোট সংক্রামিত ২১ লক্ষের বেশি। কলম্বিয়ায় ওই সংখ্যা ২ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। তবে এ মুহূর্তে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগের কেন্দ্রে আফ্রিকা মহাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার সংক্রমণবৃদ্ধিকে পুরো আফ্রিকার জন্য পূর্বাভাস হিসেবে দেখছেন 'হু'-র আপৎকালীন বিশেষজ্ঞ মাইক রায়ান। অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রদেশে নতুন করে ৩৭৪ জনের দেহে সংক্রমণ মিলেছে।


from Bangla News: বেঙ্গলি খবর, Latest News in Bengali, Breaking News In Bengali, সর্বশেষ সংবাদ | Eisamay https://ift.tt/39oIAX9

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Pages