
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: অপহরণের প্রায় ১২ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার গভীর রাতে নিজের বাড়িতে ফিরলেন পাকিস্তানের বরিষ্ঠ সাংবাদিক মতিউল্লাহ জান। মঙ্গলবার দিনের ভরা আলোয়, সকলের চোখের সামনে ইসলামাবাদের সেক্টর জি-৬ থেকে ওই সাংবাদিককে অপহরণ করা হয়েছিল। মতিউল্লাহর পরিবারের সদস্যরা তাঁর মুক্তির খবর নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, রাজধানীর উপকণ্ঠে ফতেহ জং-এর নির্জন অঞ্চলে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক জন ব্যক্তি মতিউল্লাহকে মুক্তি দিয়েছেন। কিন্তু, এই অপহরণকারীদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, যে ১২ ঘণ্টা সময় তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল, তার মধ্যে শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি। আরও পড়ুন: মতিউল্লাহ জানের উদ্ধৃতি দিয়ে Geo News জানাচ্ছে, অপহরণের পর তাঁকে একটি অপরিচিত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গাড়িতে তোলার সময়েই চোখ বেঁধে দিয়েছিল অপহরণকারীরা। ফলে, তাঁর পক্ষে রাস্তা চেনাও সম্ভব ছিল না। রাতে ফতেহ জংয়ের নির্জন জায়গায় মুক্তি দেওয়ার আগে, গোটা শহর তাঁকে নিয়েই চক্কর কেটেছে ওই অপরিচিত অপহরণকারীরা। ফতেহ জংয়ের কয়েক জন স্থানীয় মানুষ সেখানে অপেক্ষারত পরিবারের সদস্যদের কাছে তাঁকে পৌঁছে দেন। আরও পড়ুন: পাকিস্তানের একজন ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক। পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি লোকল পত্রিকা ছাড়াও একাধিক বিদেশি সাংবাদমাধ্যমে লেখালিখি করে থাকেন। বহুদিন ধরে পাকিস্তানের সামরিক ও বিচার বিভাগের সমালোচনা করে আসছেন। নিজের ক্ষুরধার কলমে। মঙ্গলবার বেলায় রাজধানী ইসলামাবাদের একটি স্কুলের সামনে থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল। স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেই তিনি তখন স্কুলে গিয়েছিলেন। অপহরণকারীদের মধ্যে কয়েক জন ছিলেন পোশাকধারী। জান ঘরনি সংবাদ সংস্থা ডনকে জানান, অপহরণের খবর শুনে স্কুলের বাইরে বেরিয়ে দেখি স্বামীর গাড়ি সেখানেই পার্ক করা রয়েছে। গাড়ির ভিতরেই রাখা ছিল একটি মোবাইল ফোন। তিনি জানান, মানহানিকর ট্যুইটের কারণে একটি সুয়ো মোটো নোটিশের জেরে চলতি সপ্তাহেই পাক সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা দিতে হবে মতিউল্লাহকে। তার সঙ্গে এই অপহরণের কোনওরকম যোগ আছে কি না, তা অবশ্য তিনি বলতে পারেননি। পাকিস্তানের বরিষ্ঠ এই সাংবাদিকের স্ত্রী কানিজ সুঘ্রা সংবাদ সংস্থাকে ফোনে জানিয়েছেন, মতিউল্লাহকে অপহরণের সময় কমপক্ষে পাঁচ জন ছিল। এর মধ্যে কয়েক জনের পরনে ছিল কালো পোশাক। বাকিরা সাধারণ জামা-কাপড়ে। তিনি জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই কয়েক জন তাঁর স্বামীকে ফলো করছিল। আরও পড়ুন: সুঘ্রার স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, স্কুলের মূল ফটকের বাইরে একটি সেডানে তাঁকে তোলার জন্য কয়েক জন জোর খাটাচ্ছে। তার আগে একটি মোবাইল ফোন স্কুলের ভিতরে ছুড়ে দিয়েছিলেন ওই সাংবাদিক। ফুটেজে দেখা যায়, কালো পোশাকধারী এক ব্যক্তি স্কুলের দারোয়ানের কাছ থেকে ওই ফোনটি চেয়ে নিচ্ছেন। আরও পড়ুন: ইসলামাবাদ পুলিশের বক্তব্য, ওই সাংবাদিকের সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছে, তা জানা নেই। আমরা বিভিন্ন সূত্রে তা জানার চেষ্টা করছি। এদিকে, সামরিক মুখপাত্র অবশ্য ঘটনা প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করে। এর আগে ২০১৭ সালেও একবার হামলার স্বীকার হয়েছিলেন এই পাক সাংবাদিক। তাঁর গাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল হামলাকারীরা।
from Bangla News: বেঙ্গলি খবর, Latest News in Bengali, Breaking News In Bengali, সর্বশেষ সংবাদ | Eisamay https://ift.tt/2ZMe7ix
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন