বরিশালের টাইমস, জাতীয়, রাজনীতি, অর্থনীতি, সারা বাংলা, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, চাকরি, বিনোদন, সাতসতেরো, ক্যাম্পাস, অন্যান্য

Breaking

রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২০

আন্দোলনে অনড়, প্রতিবাদ মঞ্চেই পড়াশোনা পার্ক সার্কাসে

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়ারিশা জামিল। আশুতোষ কলেজের জুওলজি অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পার্ক সার্কাসের আন্দোলনে প্রথম দিন থেকেই মায়ের সঙ্গে রয়েছেন। বেশ ক’দিন তাঁর কলেজ যাওয়া বন্ধ। সকাল থেকে সন্ধ্যা মায়ের সঙ্গেই পড়ে রয়েছেন পার্ক সার্কাস ময়দানে। রাতও কাটছে সেখানে। এনআরসি, সিএএ বিরোধী আন্দোলনের ফাঁকে সুযোগ পেলে মাঠে বসেই কলেজের পড়াটা সেরে নিচ্ছেন। সাজিয়া হুসেন। যোগমায়া দেবী কলেজের কমার্সের ছাত্রী। আপাতত কলেজে কম যাচ্ছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অন্দোলনে যুক্ত থেকে রাতে বাড়ি গিয়ে কলেজের পড়া তৈরি করছেন। সুযোগ পেলে মাঠে বসেই চোখ রাখছেন বইয়ে। মনতাশা খানমের সামনেই উচ্চ মাধ্যমিক। তা নিয়ে বেশ চিন্তায় তিনি। সকালে স্কুলে যান রোজই। স্কুল থেকে ফিরেই সোজা চলে আসেন পার্ক সার্কাস ময়দানে। রাত ১২টা পর্যন্ত সেখানেই থাকেন। সেখানেই বসে তৈরি করে নেন স্কুলের পড়া। তার পর বাড়ি ফেরেন। সব মিলিয়ে কলকাতার ‘শাহিনবাগ’ পার্ক সার্কাস ময়দানই এখন আন্দোলনকারীদের ঘরবাড়ি। প্রতিদিনই এখানে দু’তিন হাজার মানুষের জমায়েত হচ্ছে, এমনটাই দাবি উদ্যোক্তাদের। অনেকে সপরিবার এখানে থাকছেন। তাদের খাওয়াদাওয়া-পড়াশোনা সবই এখানে। অনেকে নিজের কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। অনেকে আবার আন্দোলনের ফাঁকে কয়েক ঘণ্টার জন্য বাড়ি গিয়ে পরিবারকে সামলাচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, ‘ব্যবসা, পড়াশুনার থেকে এই আন্দোলন অনেক বেশি জরুরি। এখন যদি সব ছেড়ে প্রতিবাদ না করি তা হলে এক দিন সব কিছুই হারাতে হবে।’ তবে শনিবার এই প্রতিবাদ, আন্দোলনের মাঝে কিছুটা হলেও তাল কাটল। এ দিন বিকেলে আন্দোলনের নেতৃত্বে কারা থাকবেন, তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়। পার্ক সার্কাসে এই অবস্থানের গোড়া থেকে অংশগ্রহণকারী আসমত জামিলকে সাংবাদিক বৈঠক করতে বাধা দেন উজমা আলম নামে আন্দোলনকারী এক মহিলা। শেষমেশ দু’পক্ষের গোলমালে সাংবাদিক বৈঠক বন্ধ রাখতে হয় উদ্যোক্তাদের। সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষমা চেয়ে কয়েকজন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা জানান, তাঁদের এই সাংবাদিক বৈঠক ডাকা ভুল হয়েছে। পরে অন্যরা অনেক চেষ্টা করে পরিস্থিতি সামলান। উজমা দাবি করেন, এই আন্দোলন কারও একার নয়। আন্দোলন সকলের। তাই সকলের মত না নিয়ে এখানে কিছু করা যাবে না। তবে এ সব কিছুর মাঝেও পড়াশোনার ও প্রতিবাদ এক সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন সাজিয়া, ওয়ারিশারা। ওয়ারিশার কথায়, ‘আন্দোলনের জন্য থমকে নেই পড়াশোনা। আন্দোলনের প্রথম দিন থেকে এখানেই ফাঁক পেলে পড়া তৈরি করে নিচ্ছি। আমার কলেজের অনেক বন্ধুও আন্দোলনে সামিল। সবাই কলেজে যাওয়ার আগে সকালে ময়দানে বসে পড়া তৈরি করে নিই।’ সাজিয়া জানান, অনেকের এখন পরীক্ষা চলছে। আন্দোলনে আসার ফলে পড়াশোনায় কিছুটা ঘাটতি পড়ছে তাদের। তবু সব বুঝেও এখানে আসতে হচ্ছে। এ দিন বিকেলে ময়দানে গিয়ে দেখা গেল, দুগ্ধপোষ্য শিশু কোলে মা থেকে অশীতিপর বৃদ্ধা অনেকেই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। এমনই এক গৃহবধূ ফারহত ইসলাম বলেন, ‘আমার সন্তান ক্লাস থ্রিতে পড়ে। ওর পরীক্ষা চলছে। এখন তার দায়িত্ব ওর এক পিসি নিয়েছেন। স্বামীর চামড়ার ব্যবসা। আন্দোলনের মাঝে দু’এক ঘণ্টার জন্য স্বামী ব্যবসার তদারকি করেন। বাকি সময় ময়দানে থাকেন।’ আরও পড়ুন:


from Bangla News: বেঙ্গলি খবর, Latest News in Bengali, Breaking News In Bengali, সর্বশেষ সংবাদ | Eisamay https://ift.tt/3aqP9sc

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Pages