বরিশালের টাইমস, জাতীয়, রাজনীতি, অর্থনীতি, সারা বাংলা, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, চাকরি, বিনোদন, সাতসতেরো, ক্যাম্পাস, অন্যান্য

Breaking

বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২০

পয়লায় ভোরের ঠান্ডা বেলায় ধাঁ

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: গুপী-বাঘা ছিল বরফঢাকা ‘ঝুন্ডি’তে। তার পর ‘হুন্ডি’ বলে হাত মেলাতেই সটান গরমের দেশে। গরম পোশাক খুলতে খুলতে বাঘার আর্তি, ‘উফ্ কী গরম! উরি বাবারে...’ পরিবর্তনের এতটা ফেরে না-পড়লেও, বছরের প্রথম দিন কলকাতাবাসীর অভিজ্ঞতা হল অনেকটা হুন্ডির গুপী-বাঘার মতোই! সাতসকালে জমাটি ঠান্ডা ছিল। আলিপুরে তাপমাত্রা নামে ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ধরলে দশ বছরে এটাই কলকাতার শীতলতম ইংরেজি নববর্ষ। কিন্তু বেলা বাড়তেই উধাও শীতের ছোঁয়া। একসময় গরম জামা রাখা দায় হয়ে দাঁড়ায়। পিকনিকে হুটোপুটি করতে গিয়ে ঘেমেনেয়ে যান অনেকেই। মাত্র ৮-৯ ঘণ্টার ব্যবধানে তাপমাত্রা দ্বিগুণ বেড়ে শেষমেশ থামে ২৫.২ ডিগ্রিতে। উপকূলের দিঘা-ডায়মন্ড হারবারে আরও গরম। মাঝ-পৌষে পারদ উঠে যায় ২৬-২৭ ডিগ্রিতে। আরও পড়ুন: নববর্ষে যে কনকনে শীতে গ্রহণ লাগবে, তার ইঙ্গিত দিনকয়েক আগেই দিয়েছিল মৌসম ভবন। কিন্তু খলনায়ক পশ্চিমি ঝঞ্ঝার ধীরগতির জন্য হাওয়াবদল হল কিছুটা দেরিতে। তাই নববর্ষের ভোরে হিমেল বাতাসের দাপট থাকলেও, বেলা বাড়তেই সব গায়েব। বছরের পয়লা দিন জুড়ে শুধু গরমের অনুভূতি। আবার ঠান্ডার আমেজ ফেরে সন্ধ্যা নামার পর। কিন্তু সে আমেজে গত ক’দিনের জমাটি ছোঁয়া ছিল না। রাত সাড়ে এগারোটাতেও পারদ নামে মাত্র ১৭ ডিগ্রিতে। কেন এমন দ্রুত পট পরিবর্তন? মৌসম ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান, উপমহানির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, ‘কলকাতায় আকাশ পরিষ্কার থাকায় দিনে ভালো রোদ ছিল। উত্তুরে-পশ্চিমি বাতাসের গতিও অনেক কমে আসে। তার উপর দখিনা-পুবালি বাতাসের ভর করে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। এগুলিই দুপুরে গরম লাগার কারণ।’ নেপথ্যে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। এ দিন সেই ঝঞ্ঝা কাশ্মীরে পৌঁছেছে। তার প্রভাবে একটি ঘূর্ণাবর্তও রয়েছে মধ্যপ্রদেশে। এর টানে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকছে দেশের অন্দরে। সেই জলীয় বাষ্প বাংলার উপর দিয়েই ছুটে যাচ্ছে উত্তর ভারতের দিকে। তাতেই ঘেঁটে গিয়েছে কড়া শীতের দরকারি বায়ুপ্রবাহ। কোণঠাসা হিমেল হাওয়া। আবহবিদরা জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী অন্তত তিন দিন রাতে শীতের অনুভূতি কম থাকবে। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে ১৪-১৫ ডিগ্রির আশপাশে। আজ, বৃহস্পতিবার সকালের দিকেও আকাশ পরিষ্কার থাকবে। তবে দ্বিতীয়ার্ধ থেকে মেঘলা হয়ে যাবে আকাশ। হতে পারে বৃষ্টিও। বছরের প্রথম দিন বৃষ্টি পেয়েছে আসানসোল, মুর্শিদাবাদ। মোটামুটি শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবার আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। তখন আবার জাঁকিয়ে ফিরতে পারে বাংলায়। মঙ্গলবার বর্ষশেষে জাঁকিয়ে শীতই ছিল বাংলায়। এ বার কলকাতার বর্ষশেষ ছিল দশ বছরের শীতলতম। বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ০.৫ ডিগ্রি বেড়ে ১২.১ ডিগ্রিতে পৌঁছয়। যা স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি কম। পুরোনো দস্তাবেজ ঘেঁটে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গত দশ বছরে বছরের প্রথম দিনে এত কম তাপমাত্রা আর কখনও হয়নি। দশকের এই রেকর্ড ছিল ২০১৮-র ঝুলিতে। গত বার আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৫ ডিগ্রিতে। এ বার তার চেয়েও কম। কাছাকাছি সময়ের মধ্যে ২০০৮ সালে (১১.৭) এর চেয়ে বেশি ঠান্ডা ছিল বছরের প্রথম দিনে। আবার ২০১২ (১৭.২ ডিগ্রি), ২০১৫ (১৮.৩ ডিগ্রি) সালে বেশ গরমের মধ্যে নিউ ইয়ার্স সেলিব্রেশনে সামিল হয়েছিল কলকাতা। এক আবহবিদের কথায়, ‘পশ্চিমি ঝঞ্ঝার জন্য এ বারও তাই হতে পারত। কিন্তু ঝঞ্ঝা কিছুটা দেরিতে আসায় অন্তত বর্ষবরণের রাতে কড়া ঠান্ডা ছিল। উৎসবে এটাই প্রকৃতির উপহার!’ আরও পড়ুন:


from Bengali News, Latest Bengali News, Bengali Khabar, Bengali News Headlines, বেঙ্গলি খবর https://ift.tt/2MPXXxU

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Pages