বরিশালের টাইমস, জাতীয়, রাজনীতি, অর্থনীতি, সারা বাংলা, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, চাকরি, বিনোদন, সাতসতেরো, ক্যাম্পাস, অন্যান্য

Breaking

রবিবার, ১৯ মে, ২০১৯

মীরগঞ্জ-মুলাদী খেয়াঘাট নিয়ে পায়তারার অবসান ॥ অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব বৃদ্ধি

বরিশাল জেলা পরিষদ এর নিয়ন্ত্রনাধীন মীরগঞ্জ-মুলাদী খেয়াঘাটটি সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব হারাতে বসেছিলো। পহেলা বৈশাখে এ জনগুরুত্বপূর্ণ ঘাটটি নতুনভাবে ইজারা হওয়ার কথা থাকলেও কোটি টাকা মূল্যের স্থলে সিন্ডিকেট করে দেয়া হয় ৪২ লাখ টাকা। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৬ বার ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও ঐ সিন্ডিকেট আর দাম বাড়ায়নি। মঙ্গলবার ৭ম বারের ইজারা বিজ্ঞপ্তির শেষ দিনে নতুন ইজারাদার ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার (যার সরকারী ভ্যাট সহ ৮৪ লাখ) সর্বোচ্চ ইজারা দেয়। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মইদুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মানিকহার রহমান, প্রকৌশলীদ্বয় ও উভয় পক্ষের ইজারাদার ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে নির্ধারিত সীলমোহরযুক্ত খাম খোলা হয়। এতে মুলাদী উপজেলার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হন। অপর সিডিউলদাতা মাইনুল হোসেন ও তার লোকজন ৬৬ লাখ টাকায় ইজারা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হন। এসময় সকলের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যানকে নানান ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং এ ইজারা প্রক্রিয়া বাতিলের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। খবর পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়। তবে পূর্বের ইজারাদাররা নতুন করে দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর একটি আবেদন করেছে বলে জানা গেছে। খোজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল জেলা পরিষদের অসাধু এক কর্মকর্তার যোগসাজসে লাভজনক এ খেয়াঘাটটি থেকে অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির পায়তারা শুরু হয়। ঐ কর্মকর্তা নিজে আর্থিক ভাবে লাভবান হয়ে সরকারী এ প্রতিষ্ঠানটিকে ক্ষতির সম্মুখিন করে। সর্বশেষ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে ৭ বার ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রায় অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব বাড়তে সক্ষম হয় জেলা পরিষদ। চেয়ারম্যানকে ৪২ লাখ টাকায় ইজারা দেয়ার জন্য বার বার চাপ প্রয়োগ ও অসাধু কর্মকর্তা গড়িমসি করলেও চেয়ারম্যান তার বিচক্ষনতায় ৭ বার বহুল প্রচারিত দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং লোভ লালসার উর্ধ্বে থেকে অনঢ় থাকে।
বরিশাল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মইদুল ইসলাম জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ এ খেয়া ঘাটটি বিগত ২০১৭ সালে ৭১ লাখ ও ২০১৮ সালে ৯৬ লাখ টাকায় ইজারা হয়। সে অনুযায়ী এবার সম্ভাব্য মূল্য ছিলো এক কোটি ১৯ লাখ। কিন্তু এবার একটি সিন্ডিকেট করে প্রায় অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার পায়তারা চালায়। বার বার ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলেও মাত্র ৪২ লাখ টাকার উপরে কোনো দরপত্র জমা পড়েনি। এজন্য বহুল প্রচারিত জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক ৭ম বার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও পূর্বের ইজারাদার ৪২ লাখ টাকার উপরে দর বাড়ায়নি। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার দরপত্র জমা দেন আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন পহেলা বৈশাখের দিন থেকেই গত বছরের ইজারাদার খাস কালেকশন করছে। যার প্রতি সপ্তাহের আদায় জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী মোঃ সরোয়ারের মাধ্যমে খাস কালেকশনের জমা দেয়ার বিধান থাকলেও একটি পয়সাও জমা পড়েনি। এছাড়াও বার বার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশেও ব্যয় বাড়ছে। তাই ৭ম বারে সর্বোচ্চ দরদাতাকে কার্যাদেশ দেয়ার জন্য আজ বুধবার সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। ইজারা নিয়ে গন্ডগোলের বিষয়ে তিনি বলেন পূর্বের ইজাদাররা ইজারা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে নানান ভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে পূর্বের ইজারাদার জানিয়েছে তারা পুনরায় বিজ্ঞপ্তি চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন এবং দর বৃদ্ধি করে এ খেয়াঘাট ইজারা নেয়ার জন্য মৌখিক ভাবে চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন।

The post মীরগঞ্জ-মুলাদী খেয়াঘাট নিয়ে পায়তারার অবসান ॥ অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব বৃদ্ধি appeared first on Barisal Today | বরিশাল টুডে.



from Barisal Today | বরিশাল টুডে http://bit.ly/2YnPDJ0

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Pages