বরিশালের টাইমস, জাতীয়, রাজনীতি, অর্থনীতি, সারা বাংলা, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, চাকরি, বিনোদন, সাতসতেরো, ক্যাম্পাস, অন্যান্য

Breaking

বুধবার, ২৯ মে, ২০১৯

কার্যসিদ্ধি ৪৮ ঘণ্টায়

অশীন বিশ্বাস ■ ব্যারাকপুরঅর্জুন সিংয়ের জয়ের পরেই চোরাস্রোতে জোর এসেছিল। এর সঙ্গে জুড়েছে শুভ্রাংশু রায় অধ্যায়। ব্যারাকপুর ও লাগোয়া এলাকায় শাসকদলে ভাঙনের সুর একপ্রকার প্রকাশ্যে চলে আসে। মঙ্গলবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে তা-ই যেন বাস্তবায়িত হল।শুভ্রাংশুকে সাসপেন্ড করার পরে আর দিল্লিতে বসে সময় নষ্ট করেননি মুকুল রায়। ফিরে আসেন কাঁচরাপাড়ায়। ছেলেকে নিয়ে কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, নৈহাটি পুরসভার কাউন্সিলরদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। ভাটপাড়া নিয়ে কথা বলেন অর্জুনের সঙ্গে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার উদ্যোগেই ব্যারাকপুর লোকসভা এলাকার চারটি পুরসভায় শাসকদলে ভাঙন ধরিয়ে দেন মুকুল। একদিনে ৭১জন কাউন্সিলরকে পদ্ম-শিবিরে টানলেন তিনি।বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, দলবদল করা কাউন্সিলরদের সিংহভাগই মুকুল-অনুগামী। কয়েকজন অর্জুনের অনুগামী। রাজ্যে বিজেপি ভালো ফল করতেই এই দুই নেতা সক্রিয় হয়ে ওঠেন তাঁদের অনুগামীদের তৃণমূল থেকে ভাঙিয়ে আনতে। ব্যারাকপুরে অর্জুন জেতায় কাজটা আরও সহজ হয়েছে। কেননা, এর পরেই ব্যারাকপুরের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ আসতে থাকে। এ-ও বলা হয়, আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। এই অভিযোগের সত্যতা ঠিকমতো যাচাইয়ের আগেই কাউন্সিলররা শুভ্রাংশুর সাসপেনশনের কথা জানতে পারেন। মুকুলও সময় নষ্ট না-করে কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে তাঁদের ডেকে বৈঠকে বসে যান।দলবদল করা কাউন্সিলররা মঙ্গলবার ‘এই সময়’কে বলেছেন, আতঙ্কের মধ্যে লড়াই করতে হচ্ছিল তাঁদের। তৃণমূলের নেতাদের তাঁরা পাশে পাননি। যে নেতারা তাঁদের এগিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁদের ফোন বন্ধ। শুধু তা-ই নয়, অনেককে অন্যায় ভাবে সরিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। নৈহাটির প্রাক্তন পুরপ্রধান রমেশ হালদার দক্ষতার সঙ্গে কাজ করলেও তাঁকে সরানো হয় বলে দলবদল করা কাউন্সিলরদের দাবি। সঙ্গে কয়েকজন কাউন্সিলরের ক্ষমতা খর্ব করার অভিযোগও রয়েছে শাসকদলের বিরুদ্ধে।এই অংশটি একটি মঞ্চ চাইছিল বলে কাউন্সিলররা জানাচ্ছেন। বিজেপির উত্থান, অর্জুনের জয়, শুভ্রাংশুর সাসপেনশনের মতো বিষয়গুলি তাঁদের সেই সুযোগ দিয়েছে। তার উপরে নিজের এলাকায় মুকুল ফিরে এসেছেন তাঁর পুরোনো মেজাজে। অভিযোগ শুনে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া বা দ্রুত আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানো--- এই মুকুলকে এখানকার কাউন্সিলররা বিলক্ষণ চেনেন। যোগ হয়েছে অর্জুন ফ্যাক্টর, ব্যারাকপুর অঞ্চলে যাঁরা প্রভাব অগ্রাহ্য করা সম্ভব নয়।দলবদল করা কাউন্সিরদের মধ্যে হালিশহরের পুরপ্রধান অংশুমান রায় বলেন, ‘শুভ্রাংশু নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে অনেক পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু তাঁর সামান্য একটা কথায় তাঁকে সাসপেন্ড করা হল। এটা মেনে নিতে পারিনি। তা ছাড়া মুকুল রায়ের মতো একজন দক্ষ নেতা ফের সামনে থেকে লড়াই করছেন। মানুষের সমর্থন বিজেপির দিকে। তাই আমরাও বিজেপিতে যোগ দিলাম।’

from Eisamay http://bit.ly/2HJQK0g

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Pages