প্রশান্ত ঘোষ ■ ভাঙড়কথায় বলে যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন! একটু ভালো করে বলা যায় যিনি স্কুলে পড়ান তিনি ভোটও করান। এ বারের ভোটে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ভাঙড় বিধানসভায় সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হল ভাঙড়ের পাঁচটি মহিলা বুথ। যেখানে ভোটকর্মী হিসেবে দিনভর দাপটের সঙ্গে কাজ করলেন মহিলারাই। প্রত্যেকে ভোটকর্মী হিসেবে অভিজ্ঞতায় নবীন হলেও যে দক্ষতায় তাঁরা ভোট পরিচালনা করলেন তা প্রশংসার দাবি রাখে। ভাঙড়ের কালিকাপুর প্রাইমারী স্কুল ও ঘটকপুকুর হাইস্কুলে মোট পাঁচটি মহিলা পরিচালিত বুথ তৈরি করা হয়েছিল। প্রত্যেকটিতেই চারজন করে মহিলা ভোটকর্মী ছিলেন। রবিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করিয়ে নজির গড়লেন সঙ্গীতা, শম্পারা।ভাঙড়ের ২৪১ নং বুথের প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে এদিন দেখা গেল সঙ্গীতা মুখোপাধ্যায়কে। পেশায় স্কুল শিক্ষিকা সঙ্গীতা এবারই প্রথম ভোটের দায়িত্ব পেয়েছেন, তাও আবার প্রিসাইডিং অফিসারের মত বুথের সবচেয়ে দায়িত্ববান পদে। ভোট পরিচালনা করতে কি টেনশন হচ্ছে? স্মিত হেসে সঙ্গীতার জবাব ‘সকালবেলা একটু চাপ মনে হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা উধাও হয়ে গেছে। কোনও অসুবিধে হয়নি, বরং দিনের শেষে একটা তৃপ্তি পাওয়া গেছে।’ সঙ্গীতার সহকর্মী শম্পা দে সিনহা কিংবা অবনী ভৌমিক দুজনেই স্কুল শিক্ষিকা। শম্পার বাড়ি ঢাকুরিয়া আর অবনী সোনারপুরের বাসিন্দা। ভোট পরিচালনা করতে ওঁদেরও কোনও সমস্যা হয়নি। সমস্যা একটাই ডিসি আরসি-তে ইভিএম, ভিভি প্যাট জমা দিয়ে গভীর রাতে বাড়ি ফেরা নিয়ে বলে ওঁরা জানালেন।বেহালার বাসিন্দা বড়িশা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সুমনা তালুকদার ভাঙড়ের অন্য একটি বুথের প্রিসাইডিং অফিসার হয়েছিলেন। এদিন সফল ভাবে ভোট করিয়ে তাঁর মুখেও তৃপ্তির হাসি। বললেন, ‘ভোট হল দেশের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক উৎসব। এতদিন শুধু নিজের ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে যেতাম। এ বার ভোটকর্মী হিসেবে দু’দিন ধরে বুথে থেকে অন্য অভিজ্ঞতা হল। ভাঙড়ের মানুষের আন্তরিকতায় মুগ্ধ।’ভাঙড়ের দায়িত্বে থাকা এক সেক্টর অফিসার বলেন, ‘মহিলা ভোটকর্মীরা অসহ্য গরমের মধ্যে যে ভাবে দায়িত্ব নিয়ে ভোট করিয়েছেন তা প্রশংসনীয়।’
from Eisamay http://bit.ly/2VAGeMb
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
Author Details
I am an Executive Engineer at University of Barishal. I am also a professional web developer and Technical Support Engineer.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন