এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: জল কম খাওয়া উচিত? নাকি বেশি? কিডনি সুস্থ রাখতে কোনটা বেশি প্রয়োজন, তা নিয়ে দ্বিধায় থাকেন অনেকেই। বিশ্ব কিডনি দিবসে শহরের কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুস্থ থাকতে বেছে নিন মধ্যপন্থা।যেমন, তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে স্কুল থেকে বাড়ি এসেছিল ক্লাস এইটের মেয়েটা। তড়িঘড়ি শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ধরা পড়ে, কিডনিতে পাথর হয়েছে। খোঁজ নিতে গিয়ে চিকিৎসক জানতে পারেন, সারাদিনে জল প্রায় মুখেই তোলে না ক্লাস এইটের পড়ুয়া। ফলে, সারা দিনে যেখানে সুস্থ ব্যক্তির মতো অন্তত দু'লিটার প্রস্রাব হওয়ার কথা, সেখানে ১৪ বছরের মেয়েটা এক লিটারেরও কম প্রস্রাব করে। 'বাচ্চাদের অনেকের মধ্যেই কম জল খাওয়ার প্রবণতা থাকে। সেটা বড় হওয়ার পরেও থেকে যায় অনেক সময়েই। প্রস্রাব কম হওয়ার ফলে দূষিত পদার্থ জমে অনেক সময় স্টোন তৈরি হয়। ফলে কিডনির উপর চাপও বৃদ্ধি পায়,' মত এসএসকেএমের প্রবীণ ইউরোলজি বিশেষজ্ঞর।এমন পরিস্থিতি এড়াতে কি তবে বেশি পরিমাণে জল খাওয়া ভালো? ফর্টিস হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিশেষজ্ঞ পার্থ কর্মকারের পরামর্শ, 'বেশি জল খাওয়াও কিডনির জন্য মোটেই ভালো নয়। শরীরে জল প্রয়োজন কি না, সেটা শরীরই বলে দেবে। একজন ব্যক্তির সাধারণ ভাবে সাড়ে তিন থেকে চার লিটার জল প্রয়োজন। তার বেশি জল খেলে যে সব কেমিক্যাল কিডনিতে স্টোন হওয়া ঠেকাতে সাহায্য করে, সেগুলো বেরিয়ে যায়। পাশাপাশি বেশি কাজ করার ফলে কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় কিডনিরও। একই সঙ্গে রক্তে কমে যেতে পারে সোডিয়ামের মাত্রা।তা হলে কী করা উচিত? পার্থ বলছেন, 'জল খেতে হবে। কিন্তু, কখনওই তা প্রয়োজনের বেশি যেন না হয়। শরীরই ইঙ্গিত দেবে, কখন জল খাওয়া প্রয়োজন। প্রস্রাব স্বাভাবিকের থেকে বেশি হলে বুঝতে হবে বেশি জল খাওয়া হচ্ছে। তখন থামতে হবে।'বিশ্ব কিডনি দিবসে ডাক্তারদের চিন্তার আর এক কারণ ক্রনিক কিডনি ডিজিজ। সিএমআরআই হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিশেষজ্ঞ সন্দীপ ভট্টাচার্য বলেন, 'ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং ওবেসিটি ক্রনিক কিডনি ডিজিজকে অত্যন্ত বাড়িয়ে দিচ্ছে। সুস্থ কিডনি পেতে তাই প্রত্যেকের উচিত সুস্থ জীবনযাত্রার দিকে নজর দেওয়া। এবং উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবিটিসের মতো রোগ থাকলে কিডনির অসুখ নিয়ে বাড়তি সচেতন হওয়া।'ঘটনা হল, কিডনির অসুখে পুরুষ-মহিলা ভেদাভেদ নেই বিশেষ। আরএন টেগোর হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিশেষজ্ঞ প্রতীক দাস বলছেন, 'লাগামহীন জীবনশৈলির ফলে কিডনির অসুখ শতকরা ২০-২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমার ক্লিনিকে প্রতিদিন অন্তত ১০০ জন নতুন কিডনির অসুখে আক্রান্তকে পাই। পুরুষরা তো আছেনই। মহিলা রোগী, বিশেষত গর্ভবতীদের সংখ্যাও বেশ অনেকটা বৃদ্ধি পেতে দেখা যাচ্ছে ইদানীং, যা বেশ উদ্বেগজনক।'
from Eisamay https://ift.tt/2HA4s5T
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
Author Details
I am an Executive Engineer at University of Barishal. I am also a professional web developer and Technical Support Engineer.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন