বরিশাল বাণী: বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বাদশার বিরুদ্ধে ২০১৫ সাল থেকে স্থানীয় একটি মসজিদের জমি আত্মসাৎ এর অভিযোগ করে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগীরা এবং মসজিদের সংশ্লিষ্ট মুসল্লিবৃন্দ। নগরীর আমানতগঞ্জের রোকেয়া আজিম সড়কের ‘জামে মসজিদুল আকসা’ নামের মসজিদের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায়, সিটি কর্পোরেশন ও বিভিন্ন দপ্তরে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করলেও মেলেনি প্রতিকার। বরং চারতলা বিশিষ্ট মসজিদের যায়গা দখল বুঝিয়ে দিয়ে অভিযোগকারী পরিবারকে নানা হুমকি দিয়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিষয়টি। সম্প্রতি এ নিয়ে দৈনিক সুন্দরবন পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন ছাপা হলে এলাকায় আবারো তোলপাড় শুরু হয়। পরদিন টাকা দিয়ে একটি প্রতিবাদ লিপি ছেপে দায় সারেন কাউন্সিলর বাদশা। সেখানেও ভুক্তভোগীদের নামে বিষোদগার করা হয়েছে।
এ দিকে কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বাদশা বরিশাল বাণীকে বলেন, এটা অনেক আগের ঘটনা। এখন এ বিষয়ে লাড়াচারার কারণ কি? মূলত আমার নির্বাচনকে ব্যাহত করতে একটি মহল এখন আবার ঐ বিতর্ক সামনে এনেছে। তাছাড়া সেখানে আমি কোন জমি দখল করিনাই।
এদিকে এলাকাবাসী বলছেন, গত পাঁচ বছরে লুটপাট ছাড়া কোন উন্নয়ন মূলক কাজ করেননি বাদশা। এবার আবার কোন মুখ নিয়ে তিনি ভোটে দাড়িয়েছেন। তবে জনগনও তার সেচ্ছাচারিতার সমুচিত জবাব দিবে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জামানত হারেবে বাদশা বলে মন্তব্য করেন তারা।
অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসা তথ্য বলছে, ২০১৫ সালে ‘জামে মসজিদুল আকসা’র পক্ষে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক সিটি কর্পোরেশন এর মেয়রের কাছে ৩/৬/২০১৫ তারিখ লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগপত্রে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছিলেন সংরক্ষিত ৪,৫,৬ ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর জাহানারা বেগম।
অভিযোগের বর্ননা থেকে জানা যায়, মসজিদের রাস্তার পাশের জমি দখল করে নিচ্ছেন রব নামের একজন ভবন মালিক। এ সময় তারা মসজিদের মোট ক্রয় করা ১১ শতাংশ জমির তিন শতাংশ জমি মসজিদের দখল করে নিয়েছেন। বিষয়টি মহিলা কাউন্সিলর আগে জেনে বাড়ির মালিকদের কাজ বন্ধ করতে বলেছিলেন যা তারা মানছেন না।
সিটি কর্পোরেশন মেয়র বরাবর চিঠি লিখে বারবার ব্যর্থ হয়ে ২০১৭ সালে মসজিদের পক্ষে ভুক্তভোগী বারেক হাং ও মুসল্লি ১২ জনের সাক্ষরসহ ফের র্যাব-৮, সিটি কর্পোরেশন, পুলিশ কমিশনার সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন এবং প্রতিকার চান। সেখানে তারা জমির কাগজপত্র, প্লানের কপিসহ ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর প্রতারণা ও জমি বেদখল করার নেপথ্যে কাজের বিবরণ তুলে ধরেন।
তারা লেখেন যে, অভিযোগকারী মো.আব্দুল বারেক ২০০৯ সালে মসজিদের নামে ১১ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। যার দলিল নম্বর ২৮৮৩। পরবর্তীতে সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম বাদশা, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক জাকির মেম্বর,ক্যাশিয়ার ইসমাইল সিকদার,ঘরামী বাড়ির জামাই জব্বার ঘরামি জোর করে দোকানপাট তুলে অবৈধভাবে জমি বুঝিয়ে দিয়েছে কথিত মালিককে। এসব প্রতারণা করে চক্রটি মসজিদের জমি বেচে দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।’
রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩
Home
Unlabelled
মসজিদের জমি দখল বিতর্ক নিয়ে আবারো জনতার দুয়ারে কাউন্সিলর বাদশা
মসজিদের জমি দখল বিতর্ক নিয়ে আবারো জনতার দুয়ারে কাউন্সিলর বাদশা
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
Author Details
I am an Executive Engineer at University of Barishal. I am also a professional web developer and Technical Support Engineer.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন