সৌদি আরব প্রতিনিধি: বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ মালিকানায় সৌদি আরবে ডাই- অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ড্যাপ) সার কারখানা স্থাপন করার লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা জরিপ (Feasibility Study) সম্পন্ন করার জন্য দু-দেশের মধ্যে আজ একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয় এবং রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল সভায় এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) এবং সৌদি হানওয়াহ কন্ট্রাক্টিং কোম্পানি লিমিটেড এর পক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
সৌদি হানওয়াহ কন্ট্রাক্টিং কোম্পানি লিমিটেড সৌদি আরবে ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ড্যাপ) সার কারখানা স্থাপন এর বিষয়ে এ সম্ভাব্যতা জরিপ সম্পন্ন করবে। সম্ভাব্যতা জরিপ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত হলে পরবর্তীতে সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান মাদেন এর সাথে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সার কারখানা স্থাপনের বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর উপলক্ষ্যে ঢাকায় শিল্প মন্ত্রনালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এম পি। সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপি এম (বার) অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান মো: সাইদুর রহমান, শিল্প মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ। শিল্প মন্ত্রী বলেন, ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ড্যাপ) কারখানা প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশে ফসফেট সারের যোগান অনেকটাই নিশ্চিত হবে যা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সহায়ক হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, কর্ণফুলী টানেল সহ বিভিন্ন প্রকল্প বাংলাদেশের উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা রাখছে।
রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, সৌদি আরবের সাথে আমাদের সম্পর্ক আজ নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। দুদেশের মধ্যে ব্যবসা, বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন অচিরেই এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে যা বাংলাদেশে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখবে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রথম শিল্প কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ বাস্তবায়িত হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন