APACHE RTR 165RP SPECIAL
EDITION
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কেমন আছেন?আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে ভালো আছি| বন্ধুরা আজকে শুরু করতে যাচ্ছি নতুন একটি ব্লগ| হয়তো আপনারা অবগত ছিলেন Apache RTR 165RP এই বাইকটি সম্পর্কে,যদিও বাইকটি ইন্ডিয়াতে লঞ্চ হয়েছে,কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে বাইকটি লঞ্চ হয়নি তারপরও আমাদের বাংলাদেশের বাইক প্রেমীদের মনে এই বাইকটি সম্পর্কে অনেক কৌতুহল ছিল আজকে জানাবো বাইকটির কি কি পরিবর্তন ছিল কেন আসলো না বাংলাদেশ, প্রথমেই বাইকটির পরিবর্তন নিয়ে কথা বলি ,প্রথম পরিবর্তন টোটাল লুকস অর্থাৎ এর বডি স্টিকারে সম্পূর্ণ পরিবর্তন প্রথম দেখাতেই আপনি এর প্রেমে পড়ে যাবেন,কারণ বাইকের নতুন গ্রাফিক্সের যে পরিবর্তন তা খুবই জোস, সাদাও নীল রঙের স্টিকার এর উপরে লাল গ্রাফিক্স অন্যরকম ভালো লাগা এনে দিয়েছে| সত্যিকার অর্থে এর কালার কম্বিনেশন গর্জিয়াস লাগতেছে| আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে জানাবেন আর প্রিয় বন্ধুরা আপনাদেরকে বলে রাখি এটা ছিল Apache
RTR এর স্পেশাল এডিশন অর্থাৎ তাদের ১৫ বছর উপলক্ষে তারা এই স্পেশাল এডিশন বা লিমিটেড এডিশন মার্কেটে নিয়ে এসেছিল| ফুয়েল ট্যাংক এর উপরে ফিফটিন ইয়ারস এর লোগোটা দেখতে পারবেন|আরেকটি পরিবর্তন ছিল এর ইঞ্জিনে আগের ইঞ্জিনটি ছিল ১৬০ সিসি আর এই এডিশনের ইঞ্জিনটি ছিল ১৬৫ সিসি| আসলে এটা 164.9 সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ফোরস্ট্রোক ফর ভাল অয়েল কুল্ড এফ আই বিএস সিক্স ইঞ্জিন |এর মেক্সিমাম পাওয়ার ১৯.২ পিএস ১০০০০ আর পি এম এ , এবং মেক্সিমাম টর্ক ১৪.২ নিউটন ৮৭০০ আর পি এম এ| পাওয়ার অনেকটাই বৃদ্ধি করা হয়েছে| এরপর টর্ক বৃদ্ধি করা না হলেও আরপিএম বৃদ্ধি করা হয়েছে| এটিহচ্ছে ১৬৫ সিসির সেগমেন্টে সবচেয়ে পাওয়ারফুল বাইক আর এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে ইয়ামাহা এম টি ফিফটিন|এই বাইকটির টপ স্পিড ১৪৫ কিলোমিটার পার আওয়ার এক কথায় বলতে গেলে 165 সিসি সেগমেন্টে অসাধারণ এক বাইক| এই বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে রেসটিউন স্লিপার ক্লাস যা সত্যি প্রশংসার যোগ্য |এর আরেকটি পরিবর্তন হচ্ছে এর ডিক্স ব্রেক সামনের চাকার ডিস্ক ব্রেক আগের মত থাকলেও পিছনের চাকার ডিক্সব্রেক পরিবর্তন করা হয়েছে পিছনের চাকায় আগে ছিল 200 মিলিমিটার এখন সেখানে 240 মিলিমিটার দেওয়া হয়েছে |এর ফলে এর ব্রেকিং সিস্টেমে আগের থেকে ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যাবে বিশেষ করে চাকা স্কিট খুব কম করবে আর এর সামনের চাকায় রয়েছে এবিএস অর্থাৎ এন্ট্রিলক ব্রেকিং সিস্টেম তবে বাইকটিতে ডুয়েল এবিএস থাকলে ভালো হতো ব্রেকিং পারফরম্যান্স আরো চমৎকার হত| এর আরো একটি পরিবর্তন হচ্ছে এর পিছনের চাকা যেখানে রেডিয়াল টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে| আগেও রেডিয়েটেয়ার ব্যবহার হতো কিন্তু নতুন এ রেডিয়াল টায়ার টা একটু উন্নত|। এই স্পেশাল এডিশনে এবারের চেনটা ব্যবহার করা হয়েছে গোল্ডেন কালারের | এই ছিল বাইকটার মোটামুটি পরিবর্তন তবে আমরা আরো কিছু পরিবর্তন আশা করেছিলাম বিশেষ করে কালার মিটার, কুইক শিফটার, ডাবল চ্যানেল এবিএস|এখন বলি এত সুন্দর বাইকটি কেন বাংলাদেশে আসলো না ,এই বাইকটি বাংলাদেশে না আসার একটাই কারণ হচ্ছে এর মাত্র ২০০ টি ইউনিট লঞ্চ করা হয়েছিল টিভিএস এর ১৫ বছর উপলক্ষে যা শুধু ইন্ডিয়াতে লঞ্চ হয়েছিল অর্থাৎ ইন্ডিয়ানদের মধ্যে মাত্র ২০০ জন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি এই বাইকটি কিনতে পেরেছে, এই কারণে বাংলাদেশে এই স্পেশাল এডিশনটি আর আসা হয়নি |এটা নিয়ে আমাদের মন খারাপ করার কিছুই নেই তো যাই হোক বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্ত আবার নতুন করে দেখা হবে অন্য একটি ব্লগ নিয়ে আল্লাহ হাফেজ আসসালামু আলাইকুম|
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন