বিশেষ প্রতিবেদক ॥ কোরবানির সাথে মাংস দানের কোনো সম্পর্ক নাই। মাংসের সাথ আছে সওয়াবের সম্পর্ক। কোরবাণির প্রথম এবং প্রধান শর্ত হচ্ছে হালাল উপার্জনে ক্রয়কৃত পশু শুধু মাত্র আল্লাহকে রাজী খুশি করতে তারই উদ্দেশ্যে জবেহ করা। এই জবেহ নিজহাতে করা উত্তম। এভাবেই জুম্মার খুতবা শুরু করেন আলহাজ্ব ইউছুমদ্দিন জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা ফরিদুদ্দিন আহম্মদ। ইমাম কোরআনের সূরা হাজ্জ, সাফ্ফাত ও ইব্রাহিম থেকে আয়াত পাঠ করেন এবং হজ্জ ও কোরবানির ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, ইব্রাহিম আঃ তার সবচেয়ে প্রিয় নিজ সন্তানকে আল্লাহর নামে কোরবানি করেন। আল্লাহ তাঁকে পরীক্ষা করেছিলেন। সেই পরীক্ষায় বাবা ও সন্তান উভয়েই পাস করেছেন। সূরা সাফফাত আয়াত ১০৬ – ১০৮ এ আল্লাহ কোরবানির আদেশ দিয়েছেন। এছাড়াও অন্য সূরাতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কিন্তু মনে রেখো! কোরবানির গোশত বা রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, আল্লাহর কাছে পৌঁছায় শুধু তোমাদের নিষ্ঠাপূর্ণ আল্লাহ সচেতনতা। এই লক্ষ্যেই কোরবানির পশুগুলোকে তোমাদের অধীন করে দেওয়া হয়েছে। অতএব আল্লাহ তোমাদের সৎপথ প্রদর্শনের মাধ্যমে যে কল্যাণ দিয়েছেন, সেজন্যে তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করো। হে নবি! আপনি সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ দিন যে, আল্লাহ বিশ্বাসীদের রক্ষা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো বিশ্বাসঘাতক, অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা হজ : আয়াত ৩৭-৩৮)
অনেকেই বলে থাকেন, কোরবানির মাংস গরব ও আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে দানের বিষয়ে কি নির্দেশনা কোরআনে আছে?
ঈমাম বলেন, একটু ভাবুন। বাবা আদম আঃ এর সময় থেকে এই কোরবানির প্রচলন। হাবিল ও কাবিলের মধ্যে কোরবানি হয়। যার কোরবানি আল্লাহ পছন্দ করেন তার উপহার বজ্রপাত এসে জলছে দিত। এ নিয়ম মূসা আঃ পর্যন্ত চলমান ছিলো। পরবর্তীতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে পৃথিবীতে অনেক কিছুর পরিবর্তন ঘটে। আমাদের নবী করিম সাঃ এর সময় থেকে কোরবানি উপলক্ষে মাংস দানের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ অনেক স্থানে বলেছেন, নিজে খাও ও অন্যকে সাহায্য কর। আল্লাহ অপচয়কারীকে পছন্দ করেননা। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা পূণ্যশীলতা ও তাকওয়ার কাজে একে অপরকে সাহায্য কর।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ২)
শুধু আলহাজ্ব ইউছুমদ্দিন জামে মসজিদই নয় বরিশাল নগরীর প্রায় সব মসজিদেই জুম্মাদিনের আলোচনার বিষয় ছিলো কোরবানি ও হজ্জ নিয়ে বলে জানালেন ঈমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, আজ আরাফাত দিবস। এইদিন হাজীরা সবাই আরাফার ময়দানে জড়ো হবেন। এই দিন সব মুসলমানদের জন্য রোজা থাকা উত্তম। এই দিনে রোজাদারদের আগে ও পিছনের একবছরের গোনা মাপ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
The post জুম্মাবার, কোরবানি শুধু আল্লাহর জন্য appeared first on ajkerparibartan.com.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন