বরিশাল বাণী: বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা শহর ও চরামদ্দি সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ গ্রাহকেরা। দিন-রাত ইচ্ছে মতো সময়ে অসময়ে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া এখন বিদ্যুৎ অফিসের নিয়মে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎ অফিসের এমন আচরণে বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দেখা দিয়েছে চরম স্থবিরতা। রমজানে লোডশেডিং নিয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। রমজান মাসে ইফতার, তারাবিহ নামাজ ও সেহরির সময়েও দেখা দেয় লোডশেডিং।
এদিকে শুক্রবার (২২ এপ্রিয়) দিনে ১২ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ যায় ৫ বার। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য সময় হল সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত ২ ঘন্টা বন্ধ থাকে বিদ্যুৎ সার্ভিস। আবার ২ টা থেকে ৩ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সার্ভিস বন্ধ রেখে দুই মিনিটের জন্য সার্ভিস চালু করে পুনরায় বন্ধ করে দেয়া হয়। আবার ৩ টা ৪০ মিনিটে বিদ্যুৎ সার্ভিস চালু করা হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুতের এমন অসহনীয় লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের অজুহাত দেখিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে। আবার অসৎ উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এতে বিদ্যুতের বার বার যাওয়া আসার কারনে ফ্রিজ, মোটর, কম্পিউটার, বাল্বসহ যান্ত্রিক ও ইলেকট্রিক সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা, ব্যাংকিং সেবা, শিক্ষা ও গৃহস্থালির কাজকর্ম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এক দিনের নয়, নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ভোগান্তি। বিদ্যুৎ সেবা প্রদানের জন্য অভিযোগ নাম্বারে ফোন করা হলেও সেটিও প্রায় সময় রিসিফ করেন না। এমনকি কোনো কারণে দুর্ঘটনা ঘটলেও ঐ নম্বরে ফোন করে পাওয়া যায় না।
কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুৎ এখন যায় না বার বার আসে। বিদ্যুতের এমন লুকোচুরি খেলা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবি জানিয়েছেন গ্রাহকরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এজিএম হাবিবুর জানান, ট্রান্সফরমারে অতিরিক্ত লোড তাই একটু বিদ্যুৎ সার্ভিসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা কাজ করতেছি অতি শীঘ্রই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সার্ভিস দেওয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন