এ আল মামুন, বিনোদন ডেস্কঃ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে নাটকীয়তা যেন থামছেই না। এমনকি সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারকে। এখনো পদটি নিয়ে সুরাহা হয়নি।
তবে থেমে নেই শিল্পী সমিতির বিভিন্ন কার্যক্রম। আর সেসব কার্যক্রম পালন করতে গিয়ে সমিতির বিরুদ্ধে শিল্পীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে। সদ্য ঘটে যাওয়া পহেলা বৈশাখের উপহার ও ইফতার অনুষ্ঠান ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত বলে দাবি করছেন অনেকেই।
সম্প্রতি শিল্পী সমিতির দায়িত্বপ্রাপ্তদের কর্মকাণ্ডে বিরক্ত হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চিত্রনায়িকা তানিন সুবাহ। অভিযোগ করে জানান, তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আমন্ত্রণ পত্র, বৈশাখী উপহার ও ইফতারের দাওয়াত দেয়া হয়নি।
কিন্তু তানিনের এসব কথা মানতে নারাজ ভোটে পরাজিত নিপুণ আক্তার। তিনি দাবি করছেন, ইনবক্সে ডিজিটাল কার্ড পাঠানো হয়েছে। এখন ডিজিটালের সময়। এখন সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। সেই সাথে তানিনকে সময়ের সাথে আপডেট হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
নিপুণ আক্তার বলেন, তানিন সুবাহর বাসায় উপহার পাঠানো হয়েছিল। কুরিয়ার সার্ভিসের ভয়েজ রেকর্ড আমার কাছে আছে। তাছাড়া উপহারগুলো তানিনকে ভিডিও কলেও দেখানো হয়েছিল। নির্বাচনের দিন এই নায়িকার গাড়িতে করেই এফডিসিতে সাত’শ খাবার প্রবেশ করেছিল। সেসব কথা বলতে চাইনি কিন্তু বলতে বাধ্য হলাম।
তবে এসব অভিযোগ মিথ্যাচার ও ভিত্তিহীন দাবি করে নিপুণকে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ফেসবুকে তানিন লিখেন, নিপুণ আপার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই—আপনি আজ গণমাধ্যমে যেই বক্তব্য দিয়েছেন তা পুরোটাই মিথ্যা। আমি তাকে ওপেন চ্যালেঞ্জ করে বললাম অডিও প্রকাশ করেন। কোথায় আমাকে তারা বলেছে শিল্পী সমিতির উপহার? আমাকে তারা ভিডিও কলেও কোনো কিছু দেখায়নি।
সাত’শ খাবারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, খাবারের যেই কথা উনি (নিপুণ আক্তার) বলেছেন তা পুরোটাই মিথ্যা। আমি নির্বাচনের দিন কয়েকজন সাংবাদিকদের খাবার থেকে দুপুরের খাবার খেয়েছি ভাগাভাগি করে। যার সাক্ষী অনেকেই আছেন। যাক আল্লাহ সবার ভালো করুক। ইফতার মাহফিলে গিয়ে এমনভাবে মিথ্যা কথা না বললেও পারতেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গেল ২৮ জানুয়ারি (শুক্রবার) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২০২৪ মেয়াদে দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুণ আক্তারকে পরাজিত করে জয়লাভ করেন জায়েদ খান। পরবর্তী সময়ে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে তার প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণ আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান।
এর বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করেন জায়েদ। জায়েদের প্রার্থিতা ফেরত পেলে আবারও আপিল করেন নিপুণ। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আবার আপিল করলে জায়েদ ফিরে পান পদ। কিন্তু উচ্চ আদালতে আবারও আপিল করেন নিপুণ। সেই আপিলের শুনানি এখনো হয়নি, যা নিয়ে দুই প্যানেলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া চলছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন