বরিশালের টাইমস, জাতীয়, রাজনীতি, অর্থনীতি, সারা বাংলা, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, চাকরি, বিনোদন, সাতসতেরো, ক্যাম্পাস, অন্যান্য

Breaking

শুক্রবার, ২২ এপ্রিল, ২০২২

কলাপাড়ার বাদুরতলী খালের বাঁধ অপসারনের দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ২১ এপ্রিল।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার বাদুরতলী খালে বাঁধ দিয়ে লবন পানি প্রবেশ করানোর কারনে নষ্ট হয়ে গেছে কয়েকশ একর জমির ডাল, মরিচ, ফুটসহ বিভিন্ন রবিশস্য। এতে সর্বস্ব হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকরা কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে খাল পাড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কয়েকশ কৃষক ও কৃষাণী ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করে দীর্ঘ বছর ধরে চলা জলাবদ্ধতা ও খালে মাছ চাষের নামে লবন পানি আগ্রাসন থেকে ফষল রক্ষার দাবি করেন। কৃষকসহ খাল পড়ের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, কলাপাড়া পৌর শহর ঘেষা বাদুরতলী মৌজায় এস এ এক নং খাস খতিয়ানের ৫১১ ও ৮১৬ নং দাগের এ খালটি বাদুরতলী খাল হিসেবে পরিচিত। শত বছর ধরে এ খালের দুই তীরের বাসিন্দারা নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে পানি ব্যবহার করছে। এ খালের পানি প্রায় পাঁচশ হেক্টও জমির কৃষি কাজে ব্যবহার করছে কৃষকরা। কিন্তু এলাকার একটি চক্র বাদুরতলী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নামে খালটি ইজারা নিয়ে খালের মধ্যে চারটি স্থানে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছে। মাছ ধরার নামে ইচ্ছে মতো লবন পানি প্রবেশ করিয়ে কৃষকের ক্ষেতের ফষল নষ্ট করে ফেলছে। এতে এ বছর কয়েক লাখ টাকার ফষল লবন পানিতে নষ্ট হয়েছে বলে কৃষকরা অভিযোগ করে খাল পাড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন। একই সাথে নষ্ট হয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষতিপূরণের দাবি করেন। এলাকার কৃষকসহ টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা জানান, স্থানীয় হিরন সিকদার, ইসমাইল হাওলাদার, নিজাম ঢালী, রিপন সরদার, মুছা সিকদার, স্বপন শেখ, নিজাম ঢালীসহ একাধিক প্রভাবশালী মাছ চাষের নামে কৃষকদের ফসলের সর্বনাশ করছে। তারা অবিলম্বে খালের সকল অবৈধ বাঁধ অপসারণ ও বাদুরতলী খালের লিজ বাতিল করে কৃষক ও জেলেদের জন্য উন্মুক্ত করার দাবি জানান। এ খালের মধ্যে বাঁধ দেয়ার কথা স্বীকার করে মৎস্য চাষীদের একজন হিরন সিকদার বলেন, তারা যে বাঁধ দিয়েছেন তাতে কৃষকের কোন ক্ষতি হয় না। তারা বাংলা ১৪২৮ সাল থেকে বাংলা ১৪৩০ সাল পর্যন্ত এ খালের ইজারা পেয়েছেন। কৃষকরা যে অভিযোগ দিয়েছেন তা সঠিক না। তারা লবন পানি উত্তোলন করেন না। বাঁধের ছিদ্র দিয়ে কিছু লবন পানি উঠতে পারে। কলাপাড়া উপজেল কৃষি কর্মকর্তা আর এম সাইফুল্লাহ বলেন, কৃষকরা তাদের অফিসে এসে অভিযোগ করেছেন। অনেক ফষল লবন পানিতে নষ্ট হয়েছে। এ খালের লিজ যাতে বাতিল হয় বিষয়টি তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলে জানান। কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসান বলেন, কয়েকশ কৃষক তার কাছে অভিযোগ করেনে। কৃষকদের স্বার্থে এ খালের লিজ বাতিলের বিষয়ে তিনি পটুয়খালী জেলা প্রশাসককে অবহিত করবেন এবং আগামী ২৭ এপ্রিলের সভায় এ বিষয়টি উত্থ্যাপন করে রেজুলেশন করবেন যাতে এ খাল ভবিষৎতে ইজারা দেয়া না হয়।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Pages