বরিশালের টাইমস, জাতীয়, রাজনীতি, অর্থনীতি, সারা বাংলা, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, চাকরি, বিনোদন, সাতসতেরো, ক্যাম্পাস, অন্যান্য

Breaking

বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২০

বিহারে বিজয়ী ৬৮% প্রার্থীর বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের বিরুদ্ধে রয়েছে। বিজয়ীদের ৮১ শতাংশই কোটিপতি। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস, এডিআরের এক রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। বিহারে বিজয়ী ২৪১ জন প্রার্থীর হলফনামা বিশ্লেষণ করে ADR দেখেছে, ১৬৩ জন অর্থাত্‍ মোট প্রার্থীর ৬৮ শতাংশ হলফনামা দিয়ে ঘোষণা করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে আবার ৫১ শতাংশ, অর্থাত্‍‌ ১২৩ জন হলফনামায় স্বীকার করেন তাঁদের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা, অপহরণ, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের মতো গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। তথ্যে প্রকাশ, গতবারের তুলনায় এ বার বিহার বিধানসভায় ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধি বেড়েছে। বিধায়কদের ২০১৫ সালের হলফনামা থেকে জানা যায়, ২৪৩ বিধায়কের মধ্যে ১৪২ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ছিল। অর্থাত্‍‌ আগের বার ৫৮ শতাংশ বিধায়ক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। ADR-এর তথ্য অনুযায়ী, বিধানসভার ৯ জন বিজয়ী প্রার্থী হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ (আইপিসি ৩০২ ধারা) রয়েছে। ৩১ জন বিজয়ী জানিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগে (আইপিসি ৩০৭ ধারা) মামলা রয়েছে। ৮ জন ঘোষণা করেন, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলায় তাঁরা অভিযুক্ত। বড় দলগুলির মধ্যে আরজেডির ৭৪ জন বিজয়ী প্রার্থীর মধ্যে ৫৪ জন (৭৩ শতাংশ), বিজেপির ৭৩ জন বিজয়ী প্রার্থীর মধ্যে ৪৭ জন (৬৪ শতাংশ), জেডি(ইউ)-এর ৪৩ বিজয়ীর মধ্যে ২০ জন (৪৭ শতাংশ), কংগ্রেসের ১৯ বিজয়ী প্রার্থীর মধ্যে ১৬ জন (৮৪ শতাংশ), সিপিআই(এমএল)(এল)-এর ১২ বিজয়ীর মধ্যে ১০ জন (৮৩ শতাংশ) এবং এআইএমআইএম-এর ৫ বিজয়ী প্রার্থীর (১০০%) মধ্যে ৫ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। নির্বাচন অধিকার সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, আরজেডির ৭৪ বিজয়ী প্রার্থীর মধ্যে ৪৪ জন (৬০ শতাংশ), বিজেপির ৭৩ বিজয়ী প্রার্থীর মধ্যে ৩৫ জন (৪৮ শতাংশ), জেডি(ইউ)-এর ৪৩ জয়ী প্রার্থীর মধ্যে ১১ জন (২৬ শতাংশ), কংগ্রেসের ১৯ বিজয়ীর মধ্যে ১১ জন (৫৮ শতাংশ), সিপিআই (এমএল)(এল) ১২ বিজয়ী প্রার্থীর মধ্যে ৮ জন (৬৭ শতাংশ) এবং AIMIM-এর ৫ বিজয়ীর মধ্যে ৫ জন (১০০ শতাংশ)-এর বিরুদ্ধেই গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। বিজয়ী প্রার্থীদের আর্থিক সচ্ছলতার বিশদও রয়েছে রিপোর্টে। হলফনামার ঘোষণা অনুযায়ী, ২৪১ বিজয়ী প্রার্থীর মধ্যে ১৯৪ জনই (৮১ শতাংশ) নিজেদের কোটিপতি হিসেবে উল্লেখ করেন। ২০১৫ সালের হিসেবে দেখা গিয়েছে, ২৪৩ বিধায়কের মধ্যে কোটিপতি ছিলেন ১৬২ জন। শতাংশের হিসেবে ৬৭%। বড় দলগুলির হিসেবে, বিজেপির ৭৩ বিজয়ীর মধ্যে ৬৫ জন (৮৯ শতাংশ), আরজেডির ৭৪ বিজয়ীর মধ্যে ৬৪ জন (৮৭ শতাংশ), জেডি(ইউ)-এর ৪৩ বিজয়ীর মধ্যে ৩৮ জন (৮৮ শতাংশ) এবং কংগ্রেসের ১৯ বিজয়ী প্রার্থীর মধ্যে ১৪ জন (৭৪ শতাংশ) হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন ১ কোটি টাকার উপর তাঁদের সম্পত্তি রয়েছে। ADR-এর রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০২০ বিধানসভায় নির্বাচিত প্রার্থীদের গড় সম্পত্তির পরিমাণ ৪.৩২ কোটি টাকা। এ বার পুনর্নির্বাচিত বিধায়কদের ২০১৫ সালে গড় সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৩.১৫ কোটি টাকা। অর্থাত্‍‌ পাঁচ বছরে সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ৫.২৬ কোটি টাকা বা ৬৭ শতাংশ। রিপোর্টে প্রকাশ ৮২ বিজয়ী প্রার্থীর (৩৪ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতা ক্লাস ফাইভ থেকে ১২ ক্লাসের মধ্যে। ১৪৯ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা (৬২ শতাংশ) স্নাতক বা তার উপরে। বিজয়ী প্রার্থীদের মধ্যে সাক্ষর ৯ জন, একজন বিজয়ীর ডিপ্লোমা রয়েছে। ১১৫ বিজয়ী প্রার্থী (৪৮ শতাংশ)র বয়স ২৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। ১২৬ বিজয়ীর (৫২ শতাংশ) বয়স ৫০ বছর থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। ২৪১ বিজয়ীর মধ্যে ২৬ জন (১১ শতাংশ) মহিলা প্রার্থী। ২০১৫ সালে ২৪৩ বিধায়কের মধ্যে ২৮ জন মহিলা জন প্রতিনিধি ছিলেন (১২ শতাংশ)।


from Bangla News: বেঙ্গলি খবর, Latest News in Bengali, Breaking News In Bengali, সর্বশেষ সংবাদ | Eisamay https://ift.tt/36sXNFr

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Pages