বনবিটে ৯০ হাজার চারা রোপণ শুরু
হবিগঞ্জ প্রতিনিধিসিলেট বন বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ রেঞ্জের পুটিজুরী বনবিটে সৃজিত সুফল প্রকল্পের অধীনে নানা প্রজাতির প্রায় ৯০ হাজার চারা রোপণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এ বিটের প্রায় ৬৫ হেক্টর পাহাড়ি জমির ৫টি বাগানে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের এসব চারা পর্যায়ক্রমে রোপণ করা হচ্ছে। এতে করে এ বনটি আরও গভীর অরণ্যে পরিণত হবে।
রোববার (১৯ জুলাই) এসব তথ্য জানিয়েছেন শায়েস্তাগঞ্জ রেঞ্জের পুটিজুরী বনবিট কর্মকর্তা আব্দুল খালিক।
সিলেট বন বিভাগের তথ্য মতে, এ জেলার চার উপজেলার বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে পাহাড়। এ পাহাড়কে কেন্দ্র করে সরকারিভাবে বনবিভাগকে চারটি রেঞ্জে ভাগ করা হয়। এরমধ্যে অন্যতম শায়েস্তাগঞ্জ রেঞ্জটি। এ রেঞ্জের অধীনে বাহুবল উপজেলার পাহাড়ি এলাকার প্রায় ২৪শ একর জমিতে রয়েছে একমাত্র পুটিজুরী বনবিট। এ বনবিটের ভেতরে রয়েছে একটি আদিবাসী ত্রিপুরা পল্লী। আর বনবিট দেখভাল করার জন্য পল্লীর প্রবেশে টিলার উপরে অবস্থিত পুটিজিুরী বিট অফিস।
পাহাড়ি বনবিট এলাকাটি দেখভাল করার জন্য বর্তমানে একজন বিট কর্মকর্তাসহ তিন কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালন করছেন। তবে পল্লীর বাসিন্দারাও তাদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করে থাকেন। বিনিময়ে পল্লীর বাসিন্দারা সরকারি বনবিট এলাকায় বসবাস করে পাহাড়ি পতিত জমিতে নানা ধরনের ফসল চাষ করেন। এবং এসব দিয়ে তারা সৎপথে জীবিকা নির্বাহ করেন।
রেঞ্জের পুটিজুরী বনবিট কর্মকর্তা আব্দুল খালিক জানান, ইতোমধ্যে প্রায় ৩০ হেক্টরে প্রায় ৪৫ হাজার গাছের রোপণ করা হয়েছে। বাকী ৩৫ হেক্টরে দ্রুত ৪৫ হাজার গাছের চারা রোপণ করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এই ৯০ হাজার চারা রোপণ করার পর সেগুলো বড় হলে তা পরিবেশের জীববৈচিত্র রক্ষার জন্য আরও সহায়ক হবে। এই বনবিটের প্রাণীরা আরও স্বাধীনভাবে বেড়ে উঠতে পারবে। যা পরিবেশের জন্য খুবই ইতিবাচক।
পুটিজুরী বনবিট কর্মকর্তা জুয়েল রানা বলেন, ‘অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করছি। ৯০ হাজার গাছের চারা বড় হলে এ বনটি গভীর অরণ্যে পরিণত হবে। সেই সঙ্গে বনটি পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখবে।’
সম্প্রতি এ কার্যক্রম পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম সাজ্জাদ হোসেন ও হবিগঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. মারুফ হোসেন।
মামুন/বুলাকী
from Risingbd Bangla News https://ift.tt/3eLswzE
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন