বরিশালের টাইমস, জাতীয়, রাজনীতি, অর্থনীতি, সারা বাংলা, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, চাকরি, বিনোদন, সাতসতেরো, ক্যাম্পাস, অন্যান্য

Breaking

শনিবার, ২৫ জুলাই, ২০২০

কোভিডের ধাক্কায় পাঁচ দিনে তিন স্বজনকে হারিয়ে বিধ্বস্ত বেঙ্গালুরুর স্বাস্থ্য আধিকারিক

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিডের সংকটে একের পর এক ট্র্যাজেডি যে তাঁর জন্য অপেক্ষা করেছিল, বেঙ্গালুরুর বোম্মনহল্লি মেডিক্যালের স্বাস্থ্য আধিকার কুমার বোধ হয় তা আঁচ করতে পারেননি। পারার কথাও নয় যদিও। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তৃতীয় বার স্বজন হারানোর ঝড় বয়ে গেল তাঁর উপর দিয়ে। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর ৭০ বছরের মাকে কেড়ে নিয়েছে কোভিড। নিজে একজন চিকিত্‍‌সক হয়েও মাকে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেননি। যেমন পারেননি পরিবারের আরও দুই স্বজনকে বাঁচাতে। মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে চোখের সামনে তিন তিনটে মৃত্যু দেখে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন বেঙ্গালুরুর এই স্বাস্থ্য আধিকারিক। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০ জুলাই ডাক্তার নগেন্দ্রর ৭৩ বছর বয়সি বাবা মারা গিয়েছেন। তার ঠিক দু'দিনের মাথায় ভগ্নিপতির মৃত্যু হয়েছে। তিনিও ছিলেন একজন চিকিত্‍‌সক। আর শুক্রবার মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করলেন বেঙ্গালুরুর এই ডাক্তার। বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই তাঁর মা মারা গিয়েছেন। রামাঙ্গরা জেলার কানাকাপুরা তালুকের PHC ডাক্তার ভগনিপতি মঞ্জুনাথের মৃত্যু নিয়ে দু-দিন আগেই লোকাল মিডিয়ায় শিরোনাম হয়। শুধুমাত্র করোনা আশঙ্কা করে তিন তিনটে নামী বেসরকারি হাসপাতাল ভর্তি না নিয়ে ফিরেয়ে দেয় ওই চিকিত্‍‌সককে। তিনি নিজেও ছিলেন একজন করোনাযোদ্ধা। রোগী দেখতে গিয়ে তিনি নিজেও করোনায় সংক্রামিত হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু, তিনি যে করোনা পজিটিভ তা জানায় মৃত্যুর পর, রিপোর্ট এলে। তার আগে এই করোনা টেস্ট রিপোর্ট না-থাকার কারণেই পরিবারের লোকেরা প্রাথমিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওই চিকিত্‍‌সককে তাঁকে ভর্তি করতে পারেননি। এ ভাবে তিন দিন নষ্ট হওয়ার পর, চতুর্থ দিনে রীতিমতো বিক্ষোভ-টিক্ষোভ দেখিয়ে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে তাঁকে ভর্তির ব্যবস্থা করতে পারলেও, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ভর্তি করার চার দিনের মাথায় ভগ্নিপতি মারা যান। মৃত্যুর পর রিপোর্ট এলে দেখা যায়, তিনিও করোনার শিকার। আরও পড়ুন: চরম সংকটের সময়ে এ ভাবে হাসপাতালের প্রত্যাখানে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বেঙ্গালুরুর ওই স্বাস্থ্য আধিকারিক। প্রশ্ন তোলেন, একজন চিকিত্‍‌সক বা চিকিত্‍‌সকের পরিবারের সদস্যরা যদি হাসপাতালে ভর্তি হতে না পারেন, তা হলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কী হবে? আরও পড়ুন: মানসিক বিধ্বস্ত ডাক্তার নগেন্দ্র বিষয়টি BBMP স্পেশ্যাল কমিশনার ডি রণদীপের নজরে এনে, অভিযোগ দায়ের করেন। চিঠিতে বেঙ্গালুরু শহরের তিন বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। রণদীপ জানিয়েছেন, এ ভাবে রোগী প্রত্যাখ্যানের ব্যাখ্যা চেয়ে ওই তিন বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠানো হবে। বেঙ্গালুরুর এই স্বাস্থ্য আধিকারিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিজেদের BBMP ডাক্তার পরিবারের সদস্যদের ওরা ভর্তি নিতে চাইছে না। রিপোর্ট চেয়ে, ফিরিয়ে দিচ্ছে। অথচ, চেন্নাই থেকে রোগী এলে, তাঁদের ভর্তি করে নেওয়া হচ্ছে। আরও পড়ুন: ডাক্তার নগেন্দ্র জানান, তাঁর বোন দন্তচিকিত্‍‌সক। একই বিল্ডিংয়ের নীচের তলে বোনের পরিবার থাকে। নগেন্দ্রর স্ত্রীও ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের একজন ইএনটি চিকিত্‍‌সক। তাঁর পরিবারের ছয় সদস্য ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকী তিনি নিজেও কোভিডের শিকার। পরিবারের তিন জন এরই মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠলেও তিন জনকে হারাতে হয়েছে। এখন করোনা তাঁর বারো বছরের বোনঝিকে থাবা মেরেছে।


from Bangla News: বেঙ্গলি খবর, Latest News in Bengali, Breaking News In Bengali, সর্বশেষ সংবাদ | Eisamay https://ift.tt/2OTP8Uj

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Pages