এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: মাওবাদীদের মনেও কোভিড () সংক্রমণের ভয় ঢুকেছে। জ্বর তো দূর অস্ত, সামান্য সর্দি-কাশি হলেও ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনে মাও সদস্যদের শিবির ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনটাই দাবি রাজ্য পুলিশের। ছত্তীসগঢ় পুলিশের বরিষ্ঠ এক কর্তা জানান, সম্প্রতি মাওবাদীদের (Naxals) এক মহিলা ক্যাডার বীজাপুর জেলার গ্রামে ফিরে এসেছে। ফ্লুয়ের উপসর্গ () দেখা দেওয়ায়, সংগঠনের সদস্যরাই তাকে জোর করে শিবির ছাড়তে বাধ্য করে। বস্তার রেঞ্জের (Bastar range) ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ সুন্দররাজ পি জানান, বিশেষ সূত্রে পুলিশের কাছে এই খবর পৌঁছেছিল। মোডাকপল থানা এলাকার পেডাকবলি গ্রামের অদূরেই এক জঙ্গল থেকে সুমিত্রা চেপা নামে বছর বত্রিশের ওই মহিলা মাওবাদী ক্যাডারকে আটক করেন নিরাপত্তাকর্মীরা। বস্তারের পুলিশকর্তা জানান, বিগত ১০ বছর ধরে মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত চেপা। মাওবাদীদের পিএলজিএ ১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সক্রিয় সদস্য। জেরায় ওই মাওবাদী (Maoist) ক্যাডার জানায়, জ্বর, সর্দি-কাশি হওয়ায়, সংগঠনের সকলের ধারণা হয়, আমার মধ্যে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে। সংগঠনের মধ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে আমাকে রাতারাতি শিবির ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। চেপা জানায়, শুধু সে একা নয়। অনেক ক্যাডারের মধ্যেই ফ্লুয়ের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। সিনিয়র মাওবাদী নেতাদের নির্দেশে তাদের সবাইকেই শিবির ছাড়তে হয়েছে। ছত্তীসগঢ় পুলিশ সূত্রে খবর, সুমিত্রা চেপা কোয়ারানটিনে রয়েছে। এর মধ্যেই তার নমুনা টেস্ট করতে পাঠানো হবে। সেই রিপোর্ট দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মাওবাদীরা (Maoist) একে-একে ঘরে ফিরে আসতে পারে ধরে নিয়েই পুলিশ বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে। মাওবাদীদের গ্রামে ফিরতে দেখলেই () যেন পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশের বক্তব্য, করোনাভাইরাসের () উপসর্গ নিয়েই তারা ফিরবে। যদি সত্যিই তার ভাইরাসে আক্রান্ত হয়, তা হলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে। সেক্ষেত্রে পুলিশকে জানালে, সুমিত্রার মতোই বাকিদেরও কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
from Bangla News: বেঙ্গলি খবর, Latest News in Bengali, Breaking News In Bengali, সর্বশেষ সংবাদ | Eisamay https://ift.tt/3deqkA0
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন