বরিশালের টাইমস, জাতীয়, রাজনীতি, অর্থনীতি, সারা বাংলা, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, চাকরি, বিনোদন, সাতসতেরো, ক্যাম্পাস, অন্যান্য

Breaking

সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২০

কোনো ভাবেই অতিরিক্ত বরাদ্দ নয়

কোনো ভাবেই অতিরিক্ত বরাদ্দ নয়

কেএমএ হাসনাত

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগকে বেশ কয়টি শর্ত দিয়ে চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেট সংশোধন শুরু হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় বাজেট সংশোধনের প্রাক্কালে কোনোভাবেই অতিরিক্ত বরাদ্দ দাবি না করতে বলেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

একই সঙ্গে অননুমোদিত কোন প্রকল্পের জন্য নতুন করে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব দিতেও মানা করা হয়েছে। এই সব বিষয়গুলো কড়াকড়ি ভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের কাছে  পাঠানো এক চিঠিতে এ বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) প্রণয়নের পদ্ধতির বিষয়েও দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সংশোধিত এডিপিতে প্রকল্প সংখ্যা সীমিত রাখতে হবে। সরকারের কৌশলগত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলোর আলোকে অগ্রাধিকার ঠিক করে প্রয়োজনে অন্যান্য কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাদ দিতে হবে। আরএডিপিতে মূল অংশে বরাদ্দবিহীন কোনো প্রকল্প রাখা যাবে না।

সংশোধিত বাজেট প্রাক্কলন প্রণয়নের ক্ষেত্রে মোটা দাগে তিনটি অনুসরণীয় নীতিমালা মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এই নীতিমালার মধ্যে রয়েছে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট প্রাক্কলন অবশ্যই চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে প্রদর্শিত মোট ব্যয় সীমার (পরিচালন ও উন্নয়ন) মধ্যে সংকুলানযোগ্য হতে হবে। কোনোভাবে অতিরিক্ত বরাদ্দ দাবি করা যাবে না।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অগ্রাধিকার প্রাপ্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নের প্রয়োজনে মোট ব্যয়সীমার মধ্যে সংকুলান সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ বিভিন্ন অপারেশনাল ইউনিট অথবা আইটেমের বরাদ্দ হ্রাস/বৃদ্ধি করতে পারবে।

২০১৯-২০২০ অর্থবছরের সংশোধিত ব্যয়ের প্রাক্কলন প্রণয়নকালে অনুমোদিত মূল বাজেটে প্রদর্শিত মোট উন্নয়ন ব্যয়ের মধ্যে কোনো অর্থ অব্যয়িত থাকবে বলে অনুমিত হলে ওই অব্যয়িত অর্থ কোনোক্রমে পরিচালন বাজেটে স্থানান্তর করা যাবে না।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সাধারণভাবে বিগত দুই অর্থবছরের (২০১৭-২০১৮ ও ২০১৮-২০১৯) প্রথম ছয় মাসের এবং চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের প্রকৃত ব্যয়ের ধারা বিবেচনা করতে হবে। তার ভিত্তিতে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের সংশোধিত প্রাক্কলন করতে হবে। মূল্য বৃদ্ধি ব্যতিরেকে সরবরাহ ও সেবা খাতের অন্তর্ভুক্ত কোনো আইটেমের বরাদ্দ বৃদ্ধি করা যাবে না। মূল বাজেটে সংস্থান ছিল না এমন কোনো সম্পদ সংগ্রহের জন্য সংশোধিত বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করা যাবে না। চলতি অর্থবছরে অপ্রত্যাশিত ব্যয় ব্যবস্থাপনা খাত থেকে কোনো অর্থ বরাদ্দ করা হয়ে থাকলে সংশোধিত বাজেটে তার প্রতিফলন নিশ্চিত করতে হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি প্রণয়ন পদ্ধতির বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সংশোধিত এডিপিকে প্রকল্প সংখ্যা সীমিত রাখতে হবে। সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সরকারের কৌশলগত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলোর আলোকে অগ্রাধিকার ঠিক করে প্রয়োজনে অন্যান্য কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাদ দিতে হবে। আরএডিপিতে মূল অংশে বরাদ্দবিহীন কোনো প্রকল্প রাখা যাবে না।

বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা উত্তর পুনর্বাসন সম্পর্কিত প্রকল্প এবং ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বৈদেশিক সাহায্য চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে এমন সব প্রকল্প সংশোধিত এডিপিতে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে।

এতে আরো বলা হয়েছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে এলাকা/অঞ্চলভিত্তিক সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত প্রকল্পগুলোর বরাদ্দ প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। ধীর গতিসম্পন্ন প্রকল্প থেকে বরাদ্দ কেটে দ্রুত বাস্তবায়ন গতিসম্পন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে প্রয়োজনানুগ বরাদ্দ দিতে হবে।

চিঠিতে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট প্রাক্কলনগুলো আগামী ৭ জানুয়ারি মধ্যে অর্থ বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সেক্টর ডিভিশনে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।



ঢাকা/হাসনাত/জেনিস



from Risingbd Bangla News https://ift.tt/2QPPD25

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Pages