সেলফি যুগে আঁকা ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদকবর্তমানে সবার হাতে রয়েছে নানা ধরনের স্মার্টফোন। তবে, বেশি দেখা যায়, যে স্মার্টফোনে সেলফি ভালো হয়। আর মোবাইলে সেলফি তোলার এই যুগে হাতে আঁকা ছবি তোলার চল একেবারেই কমে এসেছে। তবে অনেকেই আছেন যারা শিল্পীর রঙ-তুলি-পেনসিলের আঁকা ছবি এখনো পছন্দ করেন।
২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় গেলেই দেখা মিলবে এমন কিছু শিল্পীর, যারা মাত্র কয়েক মিনিটে অবিকল আকতে পারেন যে কারো প্রতিকৃতি।
মোবাইলে তোলা ছবি কিংবা ফটোগ্রাফ দেখে স্কেচে ফুটিয়ে তুলছেন মানুষটিকে। কখনো আবার ছবির মডেল বসে আছেন সামনেই।
প্রিয়জনদের এই স্কেচ করা ছবি উপহার দিতে অনেকেই ছুটে আসেন এ শিল্পীদের কাছে। অনেকে আবার নিজের ছবি আঁকাচ্ছেন স্মৃতি সংরক্ষণে।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মেলায় গিয়ে দেখা গেছে, চিত্রশিল্পীদের কাছে ছবি প্রেমীদের ভিড়।
কথা হয় চিত্রশিল্পী এম এ আজিজের সঙ্গে। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমি ২০০৭ সাল থেকে ছবি আঁকি। ছবি আঁকা আমার পেশা নয়, আমার নেশা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চিত্রশিল্পীরা আসলে ছবি আঁকি মানুষকে আনন্দ দেয়ার জন্য। আমরা সব সময় চেষ্টা করি, যাতে ছবিটা সুন্দর হয়। তাই খুব মনোযোগ দিয়ে ছবি আঁকি। অনেকে মোবাইল ফোন নম্বর নিয়ে যান পরে ছবি করাবেন বলে। পেন্সিলে আঁকা ছবি প্রিয়জনকে উপহার দেয়ার মনোবাসনা নিয়ে অনেকেই আসেন আমাদের কাছে।’
প্রতিদিন কয়টি ছবি আঁকা হয়, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন প্রতিদিন আট থেকে ১০টি ছবি আঁকা হয়।’
ছবি প্রতি কতো টাকা নেয়া হয়, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি সামনে বসে ছবি আঁকায় তাহলে ৫০০ টাকা আর ছবি দিয়ে ছবি আঁকালে ৬০০ টাকা নিয়ে থাকি। এছাড়া ১ লাখ টাকায়ও ছবি আঁকা হয়।’
তিনি বলেন, ‘এখানে এসে অনেকে ছবি আঁকতে পারবেন আবার আমাদের কাছে অর্ডারও দিতে পারেন। ছবি আঁকা হয় অনেক ধরনের যেমন, পেনসিলে আঁকা ছবি, ওয়াটার কালার, ওয়েল কালারসহ আরো অনেক ধরনের ছবি আঁকি আমি। এই মেলাতে ২০ টাকার একটি ছবি আঁকার অর্ডার পেয়েছি।’
ছবি আঁকতে আসা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আগে থেকেই জানতাম, মেলায় ছবি আঁকানো যায়। তাই আমি আমার মায়ের একটি ছবি আকিয়ে নিয়ে উপহার দেবো। আমার বিশ্বাস আমার মা এই উপহার পেলে অনেক খুশি হবেন।’
মেলা ঘুরে দেখে গেছে, এবার মেলার টাওয়ারের নিচে চারপাশে প্রায় ১০ থেকে ১২ জন চিত্রশিল্পী রয়েছেন। তারা প্রায় সবাই ছবি আকায় ব্যস্ত থাকেন অধিকাংশ সময়।
ঢাকা/হাসিবুল/মাহি
from Risingbd Bangla News https://ift.tt/30up8Uu
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন