বরিশালের টাইমস, জাতীয়, রাজনীতি, অর্থনীতি, সারা বাংলা, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, চাকরি, বিনোদন, সাতসতেরো, ক্যাম্পাস, অন্যান্য

Breaking

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২০

বাংলায় বিজেপির অন্য ছক, বলছেন উমর, যোগেন্দ্র

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: দেশব্যাপী এনআরসি, সিএএ-বিরোধী আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মধ্যে একটি বৃহত্তর সংযোগ গড়ে তুলতে হবে, এমনই আহ্বান সোমবার শুনলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। তাঁদের এই প্রস্তাব দিলেন জেএনইউয়ের ছাত্রনেতা উমর খলিদ, স্বরাজ অভিযানের নেতা যোগেন্দ্র যাদব এবং নাট্যকর্মী ও পরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায়। তাঁদের বক্তব্য, জেনএনইউ, জামিয়া মিলিয়ায় আন্দোলন হলে যাদবপুর বা দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও যাতে তাঁদের মতো করে তার পাশে দাঁড়াতে পারেন, সেই জন্য ওই বৃহত্তর সংযোগ গড়ে তোলা জরুরি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মিলনদার ক্যান্টিনের উল্টো দিকে এ দিন ‘উই দ্য পিপল অফ ইন্ডিয়া’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আত্মঘাতী ছাত্র রোহিত ভেমুলাকে স্মরণ করে ১৭ জানুয়ারি দেশ জুড়ে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘জাস্টিস ডে’ পালন করা হবে। উমর এ দিন বলেন, ‘বাংলার মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার বিষ নেই। কারণ, এখানে অনেক উদ্বাস্তু মানুষ রয়েছেন, যাঁরা দেশ ছাড়ার যন্ত্রণা বোঝেন। ধর্মের রাজনীতি বাংলায় হয় না। তাই, মোদী, অমিত শাহ বাংলাকে টার্গেট করেছেন।’ তাঁর কথায়, ‘এনআরসি, সিএএ-বিরোধী আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে দেশের সব ক’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মধ্যে একটা সংযোগ গড়ে তোলার পরিকল্পনা চাই।’ যোগেন্দ্র যাদবের কথায়, ‘বিজেপি সরকার উত্তরপ্রদেশে যে ভাবে সিএএ কার্যকর করছে কিংবা বিজেপি-শাসিত অসমে যে ভাবে এই কাজ করা হচ্ছে, বাংলায় কিন্তু সেই ভাবে করবে না। এক-একটি রাজ্যের জন্য এক-এক রকম মডেল নেওয়া হয়েছে।’ এই আন্দোলনকে দমন করার জন্য উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকারের হিংসাত্মক দমননীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে অহিংসাই একমাত্র অস্ত্র হতে পারে বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন যোগেন্দ্র ও উমর দু’জনেই। যোগেন্দ্র বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতি ছিল সুচিন্তিত রাজনৈতিক কৌশল। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিহিংসাপরায়ণ মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের লড়াইয়ের অস্ত্র সেটাই হওয়া উচিত।’ উমরও বলেন, ‘শাসক ভয় পেয়েছে বলেই হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে। ফাঁদে পা দিয়ে আমাদের হিংসার পথে গেলে চলবে না। এই আন্দোলনকে হিংসার পথ থেকে সরিয়ে রাখার দায়িত্ব সকলেরই।’ পরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ-বিরোধী প্রতিবাদে সামিল হতেই হবে শিল্পীদের।’ ‘উই দ্য পিপল অফ ইন্ডিয়া’-র পশ্চিমবঙ্গ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত অভীক সাহা বলেন, ‘রোহিত ভেমুলাকে স্মরণ করে আগামী ১৭ জানুয়ারি এই রাজ্যেও একাধিক অনুষ্ঠান হবে।’ আরও পড়ুন:


from Bangla News: বেঙ্গলি খবর, Latest News in Bengali, Breaking News In Bengali | Eisamay https://ift.tt/2NoTN00

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Pages