বরিশালের টাইমস, জাতীয়, রাজনীতি, অর্থনীতি, সারা বাংলা, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, চাকরি, বিনোদন, সাতসতেরো, ক্যাম্পাস, অন্যান্য

Breaking

সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২০

নজরে পরিবেশ, আমূল বদলে গিয়েছে সাগরমেলার ছবি

কৌশিক সরকার ■ গঙ্গাসাগর সাগরতটে দাঁড়িয়ে কথা হচ্ছিল তন্ময় মণ্ডলের সঙ্গে। থাকেন বাসন্তীর সোনাখালি। মেলা উপলক্ষে এসেছেন সাগরে। এসেছিলেন বছর তিনেক আগে। শীতের বেলাশেষেও বহু পুণ্যর্থীর স্নানের উৎসাহে কোনও খামতি চোখে পড়ল না। স্নান সেরে তটে দাঁড়ানো ভ্রাম্যমাণ টয়লেটগুলিতে পোশাক বদলে নিচ্ছেন অনেকে। যেগুলিকে শৌচাগার এবং পোশাক বদলের উদ্দেশ্যে রেখেছে রাজ্য প্রশাসন। বিচ বরাবর দাঁড় করানো সারি সারি ওই মুভেবল টয়লেটের দিকে তাকিয়ে খানিক অবাক হলেন তন্ময় এবং তাঁর সঙ্গীরা। বললেন, ‘এটা আগে দেখিনি। এখন প্রতি বছরই কিছু না কিছু নতুন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। যার ফলে মেলার চেহারা বদলে গিয়েছে আপাদমস্তক।’ পূর্ণিয়া থেকে এসেছেন সুখলাল যাদব, আমেঠি থেকে রাজেশ শর্মা। শুধুমাত্র মেলার পরিবেশই নয়, পরিষেবার এই খুঁটিনাটি ব্যবস্থাপনা দেখে আল্পুত তাঁরা। দশ মিনিট বাদে বাদে বাংলা এবং হিন্দিতে মাইকে প্রচার চলছে--- ‘যেখানে-সেখানে মলমূত্র ত্যাগ করবেন না। সাগরমেলাকে পরিবেশবান্ধব মেলা হিসেবে গড়ে তুলতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। আপনারা সহযোগিতা করুন।’ প্রচার হয়তো আগেও হত। তবে উপযুক্ত বিকল্প ব্যবস্থা এবং সচেতনতার অভাবে তার বাস্তবায়ন হত না। এখনও পর্যন্ত কিন্তু মেলা প্রাঙ্গণের চেহারা সম্পূর্ণ আলাদা। দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলাশাসক পি উলগানাথন জানান, মেলা আনুষ্ঠানিক ভাবে তিনদিন আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই পাঁচ লক্ষ পূণ্যার্থী সাগরে এসে ঘুরে গিয়েছেন। এখন প্রায় আট লক্ষ মানুষ রয়েছেন। মেলার পরিবেশ, স্বচ্ছতা ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় প্রশাসন দায়বদ্ধ। সংখ্যাটা যা-ই হোক না কেন, এ কথা অস্বীকার করার জো নেই যে, সাগরমেলা ইতিমধ্যেই জমে গিয়েছে। যদিও ১৪ এবং ১৫ জানুয়ারি সর্বাধিক মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করছে প্রশাসন। এ বছর কুম্ভ মেলা না-থাকায় পুণ্যার্থীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় আরও খানিক বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে ওই দু’দিনই প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। আগামী কয়েকদিন এই প্রবণতা বজায় থাকবে কি না, তা সময় বলবে। কিন্তু অন্য বছরে মেলা শুরুর সময় থেকে মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন প্রান্ত, বিশেষত সাগরতটে যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগের যে ছবি ধরা পড়ে, এ বার কিন্তু চিত্রটা ভিন্ন। রাজ্যের বর্ষীয়ান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, শুধুমাত্র মুভেবল টয়লেটই নয়, বহু বায়ো টয়লেটও তৈরি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। মেলার নানা প্রান্ত জুড়ে রয়েছে সেগুলি। আরও পড়ুন:


from Bangla News: বেঙ্গলি খবর, Latest News in Bengali, Breaking News In Bengali | Eisamay https://ift.tt/2RbZhwf

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Pages