এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া ()-কে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে দিতে চলেছে অসম। অসম সরকারের একটি সূত্রে খবর, নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনে বিতর্কিত এই সংগঠনের ভূমিকা তাঁরা ভালো করে খতিয়ে দেখছেন। হিংসা ও ভাঙচুরে লোকজনকে উস্কানি দেওয়ার প্রমাণ হাতে এলেই, পিএফআইকে নিষিদ্ধ করতে কেন্দ্রের কাছে তাঁরা চিঠি দেবেন। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও ইতিমধ্যে এই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে। শুধু অসম নয়, নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর প্রতিবাদে দেশ জুড়ে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও বেশ কিছু রাজ্য এর মধ্যেই ওই সংগঠনের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলে, কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট দিয়েছে। যোগীরাজ্যে সিএএ'র বিরুদ্ধে হওয়া হিংসাত্মক বিক্ষোভে সরাসরি পিএফআইয়ের হাত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে ওই সংগঠনের ২৫ কর্মী। যোগী প্রশাসন ইতিমধ্যেই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক ও অসমের মতো রাজ্যে অশান্তির নেপথ্যে পিএফআইয়ের হাত রয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে একাধিক রাজ্য থেকে রিপোর্ট এসেছে। মন্ত্রক তা গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছে। মুসলিমদের আর্থ-সামাজিক উন্নতির লক্ষ্যে ২০০৬ সালে এই সংগঠনটি গড়া হয়েছিল। কিন্তু, প্রথম থেকেই পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে। শুধু কেরলেই ২৭টি খুনের অভিযোগ রয়েছে এই সংগঠনটির বিরুদ্ধে। গোয়েন্দাদের বক্তব্য, নিষিদ্ধ সংগঠন 'সিমি'-র মুখ হিসেবে গোটা ভারতে হিংসাত্মক কার্যকলাপে গত দেড় দশক ধরে মদত দিয়ে আসছে এই সংগঠনটি। সিমির অধিকাংশ সদস্যই এখন পিএফআইয়ে যুক্ত। হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগে গত বছর ঝাড়খণ্ডে এই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ফিরোজাবাদ, মথুরা, আলিগড়-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হওয়া সংঘর্ষে পিএফআইয়ের যে হাত রয়েছে, সে প্রমাণ তাদের হাতে এসেছে। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে অশান্তি পাকাতে বড় সংখ্যক কর্মী মূলত উত্তরপ্রদেশের 'ব্রজ এলাকায়' (মথুরা, ও আগরা) এখনও লুকিয়ে। তাঁদের চিহ্নিত করে, ধরপাকড় শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে যোগীপুলিশ। দিল্লির গন্ডগোলেও অন্তত দু'ডজন পিএফআই সদস্য পুলিশের নজরে রয়েছেন বলে সূত্রের খবর। দিল্লির সীমাপুরী ও সীলমপুরীতে সিএএ-র প্রতিবাদ ঘিরে গত মাসের গন্ডগোলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা জড়িত রয়েছে বলে দিল্লি পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সীমাপুরীর গন্ডগোলে অন্তত ১৫ জন বাংলাদেশিকে চিহ্নিত করেছে দিল্লি পুলিশের সিট। সীলমপুরীর গন্ডগোলও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের একটি গোষ্ঠীর উস্কানিতে ঘটেছিল বলে দাবি করেছে দিল্লি পুলিশের অপরাধদমন শাখা। পুলিশ জানিয়েছে, সিএএ-বিরোধী সমস্ত বিক্ষোভের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে কি না, তার তদন্ত করছে সিট।
from Bengali News, Latest Bengali News, Bengali Khabar, Bengali News Headlines, বেঙ্গলি খবর https://ift.tt/2ZMX5iR
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন