এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশ, যে কোনও মূল্যেই হোক, বেদখল হয়ে যাওয়া সমস্ত দলীয় পার্টি অফিস পুনরুদ্ধার করতে হবে। সেই মতো পুলিশ-প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে পার্টি অফিস পুনরুদ্ধার অভিযানে নামছে শাসকদল। নবান্ন সূত্রের খবর, তৃণমূলের পার্টি অফিস উদ্ধার এবং মারমুখী বিজেপি সমর্থকদের হাত থেকে শাসকদলের নেতা-কর্মীদের বাঁচাতে সংঘর্ষপ্রবণ এলাকায় বাড়তি পুলিশ বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। তার জন্য কলকাতা থেকে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের র্যাফ ও স্ট্র্যাকো ফোর্স পাঠানো হচ্ছে। তৃণমূলের পার্টি অফিস উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে জেলা পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র। দরকার হলে তৃণমূলের পার্টি অফিসে পাহারা দেবে পুলিশই। এর পাশাপাশি তৃণমূলের শীর্ষ নেতারাও এলাকায় গিয়ে আক্রান্ত দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সাহস জোগাবেন। পার্টি অফিস খোলার পর সেখানে কর্মীরা যাতে নিয়মিত বসেন, তার জন্যও স্থানীয় নেতাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।তৃণমূল সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটের ফল বেরনোর পর কোন কোন জেলায় কতগুলো পার্টি অফিস বিজেপি দখল করেছে, তার তালিকা বানাতে বলা হয়েছে জেলা নেতৃত্বকে। সেই তালিকায় তুলে দেওয়া হবে পুলিশের হাতে। সেই মতো পুলিশের সাহায্য নিয়ে তৃণমূল নেতারা পার্টি অফিসের দখল নেবেন। একই সঙ্গে ঘরছাড়া তৃণমূল কর্মীদের ঘরে ফেরানোর কাজও শুরু করবে দল ও প্রশাসন।বেদখল হয়ে যাওয়া পার্টি অফিসের সংখ্যা নিয়ে নিয়ে অবশ্য এখনও অন্ধকারে শাসকদল। প্রশাসনের কাছেও এখনও পর্যন্ত কোনও তালিকা জমা পড়েনি। তার জন্য তৃণমূলের পার্টি অফিস পুনরুদ্ধারের কাজ সে ভাবে শুরুই করা যাচ্ছে না।ভোটের ফল বেরনোর পর রাজ্যে সবথেকে বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে। তৃণমূলের হিসেব অনুযায়ী, বহু পার্টি অফিস এবং ক্লাব দখল করে নিয়েছে বিজেপি। প্রায় এক হাজারের উপর তৃণমূল কর্মী ও সমর্থক ঘরছাড়া। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় পার্টি অফিস পুনরুদ্ধার এবং ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে মঙ্গলবার মধ্যমগ্রামে বৈঠকে বসেছিলেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তাপস রায়, মদন মিত্রের মতো নেতারা। সেই বৈঠকে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানো এবং পার্টি অফিস পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া কী ভাবে শুরু হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। তৃণমূল কর্মীদের সাহস জোগাতে শনিবার ভাটপাড়ায় একটি মিছিল করার কথা ভাবা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে ভাটপাড়ায় মিটিং-মিছিল করা কতটা সমীচিন হবে, তা নিয়ে দোটানায় পড়েছেন তৃণমূল নেতারা। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘ভাটপাড়ায় দলের কর্মী-সমর্থকদের অনেকেই এখন ঘরছাড়া। অনেকেই ভয়ে বাড়ি থেকে বেরতে পারছেন না। ফলে মিছিল করলে স্থানীয় কর্মীরা তাতে যোগ দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। এ অবস্থায় মিছিল করলে ফের আক্রমণের মুখে পড়তে পারেন তাঁরা। পুলিশকে দিয়ে পার্টি অফিস উদ্ধার করা গেলেও সেখানে বসার লোক নেই। দলের শক্তি প্রদর্শন করতে গিয়ে সাধারণ কর্মীদের বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া উচিত হবে না।’ তাপস রায় অবশ্য জানিয়েছেন, বুধবার ফের বৈঠকে বসবেন জেলা কোর কমিটির নেতারা। সেখানেই রণকৌশল ঠিক হবে।
from Eisamay http://bit.ly/2HIxAaV
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
Author Details
I am an Executive Engineer at University of Barishal. I am also a professional web developer and Technical Support Engineer.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন