এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের ফল বেরোনো ইস্তক বিজেপি নেতাদের অনেকেই আকারে-ইঙ্গিতে বলতে শুরু করেছিলেন, রাজ্যে বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসছে। কিন্তু নিশ্চিত করে এতদিন এই বিষয়ে তাঁরা কিছু বলেননি। তবে মঙ্গলবার দিল্লিতে মুকুল রায়ের হাত ধরে রাজ্যের দুই তৃণমূল ও এক সিপিএম বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বললেন, ‘ছ’মাস থেকে এক বছরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট হতে চলেছে। পরবর্তী বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা ২০২১ সালে। কিন্তু অত দিন অপেক্ষা করতে হবে না। তার আগেই সরকার পড়ে যাবে।’রাহুলের যুক্তি, যে ভাবে বহু তৃণমূল নেতার মধ্যে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার উৎসাহ তৈরি হয়েছে, তাতে কোনও অবস্থাতেই এই সরকার নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ করতে পারবে না। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও দিল্লিতে এ দিন একই সম্ভাবনা উস্কে দিয়ে বলেছেন, ‘সাত দফায় তৃণমূলে ভাঙন হবে। প্রতি সপ্তাহে তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়কেরা বিজেপিতে নাম লেখাবেন।’ এর আগে মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষরাও আকার-ইঙ্গিতে বোঝানোর চেষ্টা করেন, ২০২১ সাল পর্যন্ত বর্তমান রাজ্য সরকার না-ও টিঁকতে পারে।বিজেপি সূত্রের খবর, তৃণমূলের ৭৪ জন বিধায়কের সঙ্গে প্রাথমিক ভাবে কথাবার্তা শুরু করেছেন মুকুল রায়রা। এর মধ্যে কত জন শেষ পর্যন্ত সত্যি সত্যিই তৃণমূল ছেড়ে বেরোন, সে দিকেই এখন তাকিয়ে আছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। রাহুল অবশ্য এ দিন ‘দোলাচলে থাকা শাসক দলের বিধায়কদের উদ্দেশে’ ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়ে বলেছেন, ‘মনে রাখবেন, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ, সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস।’তবে লোকসভা ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকে গত ক’দিনে তৃণমূল ভাঙানোর যে তৎপরতা বিজেপির অন্দরে শুরু হয়েছে, তা খোলামনে নিচ্ছেন না বিজেপির পুরোনো নেতা-কর্মীদের অনেকেই। তাঁদের একাংশের যুক্তি, সরকার ফেলার জন্য যে ভাবে গোটা তৃণমূলটাকেই বিজেপিতে ঢুকিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে, তাতে হিতে বিপরীতও হতে পারে। কেননা, এই সব তৃণমূল নেতার উপরে বিরক্ত হয়েই মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন।রাজ্য বিজেপির এক প্রবীণ নেতার কথায়, ‘ছ’মাসের মধ্যে মমতার সরকার ফেলা দেওয়ার জন্য কোনও হঠকারী সিদ্ধান্ত না নেওয়াই ভালো। মনে রাখতে হবে, সবুরে মেওয়া ফলে।’ যদিও এ দিন দিল্লিতে কৈলাস বলেছেন, ‘যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসতে চাইছেন, তাঁদের দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে ঝাড়াই-বাছাই অবশ্যই করা হবে।’রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যাখ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ছ’মাসের মধ্যে পড়ে যাবে, এই প্রচার চালিয়ে বিজেপি আসলে সরকারের অন্দরে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে। যাতে পুলিশ ও আমলা মহলের উপর কার্যত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
from Eisamay http://bit.ly/2HJRkuY
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
Author Details
I am an Executive Engineer at University of Barishal. I am also a professional web developer and Technical Support Engineer.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন