এই সময় ক্রাইম ডেস্ক: চার মাস ধরে চাকরি নেই। চরম হতাশ হয়ে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে গলা কেটে খুন করল এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। শনিবার মাঝ রাতে গাজিয়াবাদে এই ঘটনা ঘটে। রবিবার সন্ধেয় সে পরিবারের WhatsApp গ্রুপে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে এই খবর জানায়। আর বলে, শিগগিরই সে নিজেকেও শেষ করে দেবে। পুলিশ জানিয়েছে, ৩৭ বছরের সুমিত কুমার গত ডিসেম্বর মাস থেকে বেকার ছিলেন। তখন থেকে কঠিন আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল তার পরিবার। গত বছর অক্টোবরে বেঙ্গালুরুর একটি কোম্পানিতে যোগ দিলেও ২ মাস পরেই সেখান থেকে ইস্তফা দেন সুমিত। তবে এ কথা গত মার্চে হোলির সময় জানতে পারে সুমিতের পরিবার। বেঙ্গালুরু ছেড়ে জ্ঞান খন্দের ফ্ল্যাটেই থাকতে শুরু করে সুমিত। গত আড়াই বছর ধরে একটি 2BHK ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন সুমিতের ৩২ বছরের স্ত্রী অংশু বালা ও তিন সন্তান - প্রথমেশ (৫), আরব (৪) ও আকৃতি(৪)। সুমিতের দিদি গুড্ডি জানিয়েছে, ভিডিয়োয় সুমিত বলে সে তার স্ত্রী ও তিন সন্তানকে খুন করেছে। আর ৫ মিনিটের মধ্যেই সে পটাসিয়াম সায়ানায়াড খেয়ে সে-ও আত্মঘাতী হবে। সঙ্গে সঙ্গে অংশুর দাদা পঙ্কজকে বিষয়টি জানান গুড্ডি। পঙ্কজ সুমিতের বাড়ি গিয়ে দেখেন, দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। পুলিশ গিয়ে দরজা ভাঙলে হলে পড়ে থাকতে দেখা যায় প্রথমেশের দেহ। বেডরুমে মেলে বাকি তিনজনের দেহ। বেঙ্গালুরু থেকে ফিরে সুমিত মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিল বলে জানিয়ে পঙ্কজ বলেন, হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিয়োতেও সুমিত বলেছে যে এক মাদক পাচারকারী তার থেকে ১ লাখ টাকা প্রতারণা করেছে। প্রতিবেশীপা জানিয়েছেন, কখনও কোনও ঝগড়া হতে শোনেননি এই দম্পতির মধ্যে। সুমিকতে রবিবার রাত ৩টে নাগাদ ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। তার পিঠে ছিল একটি ব্যাকপ্যাক। খবরটি ইংরেজিতে পড়ুন
from Eisamay http://bit.ly/2Uxk5hx
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
Author Details
I am an Executive Engineer at University of Barishal. I am also a professional web developer and Technical Support Engineer.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন