বরিশালের টাইমস, জাতীয়, রাজনীতি, অর্থনীতি, সারা বাংলা, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, চাকরি, বিনোদন, সাতসতেরো, ক্যাম্পাস, অন্যান্য

Breaking

বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

ছেলের চেয়ে মা ১০ মাসের বড়!

ছেলের চেয়ে মা ১০ মাসের বড়!

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ছেলের চেয়ে মাত্র ১০ মাসের বড় মা! সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের ঐয়ারকোনা গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে। জাতীয় পরিচয়পত্র সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

উপজেলার ঐয়ারকোনা গ্রামের মৃত আব্দুল গনির স্ত্রী মোছা. খুদেজা বিবির জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী জন্ম সাল ১৯৫৩। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল করে তার জন্ম তারিখ ১০ নভেম্বর ১৯৭৪ সাল লেখা হয়েছে। আর জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী খুদেজার একমাত্র ছেলে প্রতিবন্ধী আব্দুল মুহিতের জন্ম ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ সাল। অর্থাৎ ছেলের চেয়ে মাত্র ১০ মাসের বড় খুদেজা।

২০০৯ সালে খুদেজা বিবি বয়স্ক ভাতার কার্ড বরাদ্দ পান। প্রায় ১২ বছর ধরে তিনি ভাতার অর্থ উত্তোলন করে আসছেন। কিন্তু গত বছর অনলাইন ডাটাবেস তৈরি সময় জাতীয় পরিচয়পত্রে তার বয়স কম উল্লেখ করা হয়। আর এ কারণে বাতিল হয়ে যায় তার ভাতার কার্ডটি। ফলে বিগত ৬ মাস ধরে বয়স্ক ভাতা থেকে বঞ্চিত তিনি।

এদিকে বয়সের এমন পার্থক্য সংশোধন করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে অসহায় ওই পরিবারটিকে। নানা কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরও সমস্যার সমাধান হয়নি।

খুদেজা বিবি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর আমার বিয়ে হয়। যুদ্ধের সবকিছু এখনো মনে পড়ে। এতদিন ভাতা পাইলাম। এখন মরার সময় ওষুধের টাকাই পাই না।’প্রতিবন্ধী আব্দুল মুহিত বলেন, ‘একই দিনে মা-ছেলে ভোটের ছবি তুলেছিলাম। মা-ছেলের বয়স কি সমান হয়? এ ভুলের জন্য মায়ের ভাতার কার্ড বাতিল হইছে।’

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুদ্দীন বলেন, ‘২০০৮ সালে ডাটা এন্ট্রির সময় এমনটা হতে পারে। সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে সব কাগজপত্র নিয়ে গেলে সংশোধন হয়ে যাবে।’

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্রে নির্ধারিত বয়সের কম হওয়ায় কারণে অনলাইনে ডাটা করা যায়নি। ফলে তার বয়স্ক ভাতার কার্ডটি বাতিল হয়েছে। তবে, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন হলে পুনরায় তার ভাতার কার্ড ইস্যু করা হবে।

সিলেট আঞ্চলিক জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ মিঞা বলেন, ‘আমরা সব কাগজপত্র দেখে সংশোধন করে দেব।’

The post ছেলের চেয়ে মা ১০ মাসের বড়! first appeared on Barishal Times | বরিশালটাইমস.



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Pages