নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের লীলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। এবার ঈদুল আজহার ছুটিতে এ সৈকতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের দেখা মিলেছে। যা সম্ভব হয়েছে পদ্মা সেতুর কল্যাণে। শুক্রবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকেই সৈকতে আনন্দে মেতেছেন হাজার হাজার পর্যটক। গত ১০ জুলাই (রবিবার) ঈদের দিন থেকে পর্যটকদের আগমন শুরু হয় এ পর্যটন কেন্দ্রটিতে।
ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটার সব হোটেল-মোটেল অগ্রিম বুকিং করে পর্যটকরা। এতে করে আগে বুকিং না দেওয়া পর্যটকদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। এমনকি রুম না পেয়ে ফিরে যাওয়ার মতো বিড়ম্বনায়ও পড়েছেন অনেকে।
পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পদ্মা সেতু হয়ে কুয়াকাটা ভ্রমণ এখন আরও সহজ এবং আনন্দদায়ক হওয়ায় পর্যটকরা এই সৈকতে ভ্রমণের জন্য এসেছেন।
হোটেল সমুদ্রবিলাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. ইসমাইল ইমন বরিশালটাইমসকে বলেন, চারদিন ধরে আমাদের হোটেল শতভাগ বুকিং। তাই পর্যটকরা যদি অগ্রিম হোটেল বুকিং করে আসে তাহলে ভোগান্তিতে পড়বে না।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার পর আমরা বেশ লাভবান এখন। করোনাকালীন সময়ের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারব বলে মনে হচ্ছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব বরিশালটাইমসকে বলেন, বর্তমানে কুয়াকাটায় পর্যটকদের আসা অব্যাহত রয়েছে। পর্যটকদের জন্য বিনোদনের জায়গা বৃদ্ধি ও উন্নতমানের স্থাপনা তৈরিতে ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা। আশা করি এই সংকট আর থাকবে না।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, অতিরিক্ত পর্যটক হওয়ায় ট্যুরিস্ট পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস পর্যটকদের সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে।’
.jpeg)
.jpeg)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন