সঞ্জিব দাস, গলাচিপা ( পটুয়াখালী) প্রতিনিধি পটুয়াখালীর গলাচিপায় প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া হোগলা পাতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এক সময়ে প্রায় পরিবারের মানুষ হোগলা পাতা দিয়ে বিভিন্ন ব্যবহারিক জিনিস পত্র তৈরি করতো সেগুলো নিজেদের কাজে ব্যবহার করা সহ আবার কেউ কেউ বিক্রি করে জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করতো কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আধুনিক প্রযুক্তির কারনে এখন সেই হোগল পাতা আর খুঁজে পাওয়া যায় না। ঐতিহ্যবাহী গ্রামীন শিল্প হোগল পাতা প্রায় বিলুপ্তির পথে। আগে নদী-নালা, খাল-বিলের পাশে দেখা যাইতো হোগল পাতা, বাতাস আসলেই যেনো হেলে পরতো এক একটার উপরে সেই সব দৃশ্যে দেখতে ও ভালো লাগতো বর্তমান সময়ে দেখা মিলে না হোগল পাতা আগের সময় মানুষ হোগল পাতার চাটাই বিছানার নিচে ব্যবহার করতো, চাটাই করে ধান শুঁকাতো, নামাজ পড়ার পাটি, বাতাস করার পাখা, হাঁড়ি পাতিলে খাবার ঝুলিয়ে রাখার শিকা, সহ বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা হইতো। এ কারনে গ্রামের প্রায় বাড়িতে বাড়িতে হোগলা পাতা দিয়ে এই সকল জিনিস বোনার প্রচলন ছিল। এক প্রকার বেশ কদর ছিল হোগল পাতার। কৃষকরা বলেন, এক যুগ আগেও গ্রামের প্রত্যেকের ঘরেই হোগলার কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্তত ছিলো। দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনে মক্তব, মসজিদ, মাদ্রাসা ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে ব্যবহার করতো হোগলা পাতার তৈরি চাটাই (পাটি)। বিশেষ করে, গ্রামের সকল পেশার মানুষ খাওয়া, নামাজ ও ঘুমানোর কাজে এর ব্যবহার করতো বেশি। বিদ্যুৎবিহীন এলাকায় তীব্র গরমে মানুষের হোগলা পাতার হাতপাখা ছিল নিত্য দিনের সঙ্গী। পাতার সরবরাহ কমে যাওয়ায় এখন সে স্থানটি দখল করে নিয়েছে প্লাষ্টিকের তৈরির মাদুর ও পাখা।এ ব্যাপারে গলাচিপা কৃষি অফিসার আরজু আক্তার বলেন হোগল পাতা এটি প্রাকৃতিক ভাবে সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় জন্মে থাকে এটাকে বাণিজ্যিকভাবে কেউ আবাদ করে না। এখন পদ্মা সেতু চালু হয়েছে তাই গ্রামীণ জনগোষ্ঠী এই গোলপাতা কে সম্ভাবনাময় একটি শিল্প হিসেবেও বেছে নিতে পারে। গ্রামের সাধারণ মানুষ,বিশেষ করে মেয়েরা চাটাই বুনে বিক্রি করে আর্থিকভাবে অর্থসচ্ছল ফিরিয়ে আনবে। কৃষি অফিসার আরজু আক্তার সাংবাদিকদের’কে আরো জানান এটিকে ট্রেনিং এর মাধ্যমে চাষের আওতায় আনা হবে এমন কোন সিদ্ধান্ত কৃষি অফিসে এখন পর্যন্ত পায়নি। তবে এটি একটি সম্ভাবনাময় শিল্পপ্রতিষ্ঠান হতে পারে বলে জানিয়েছেন।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
Author Details
I am an Executive Engineer at University of Barishal. I am also a professional web developer and Technical Support Engineer.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন