মোঃফিরোজ ফরাজী ।রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে জমিসহ ঘর পেয়েছেন পাঁচ শতাধিক পরিবার। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে এই উপহার বিতরণের উদ্বোধনের পর এ উপজেলার ৫২০টি পরিবারকে দুই শতক জমির মালিকানা কাগজপত্র ও ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এসময় প্রত্যেক পরিবারের হাতে একটি শাড়ি এবং একটি লুুঙ্গি তুলে দেওয়া হয়েছে। উপকারভোগীরা বলছেন, ঈদের আগে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে তাদের মধ্যে ঈদের আমেজ ছড়িয়েছে। মাত্রা বেড়েছে ঈদ আনন্দের।
প্রশাসনের তথ্যমতে, গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় পর্যায় এ উপজেলায় নির্মাণাধীন ৬১৮টি ঘরের মধ্যে নির্মিত ৫২০টি ঘর হস্তান্তর করা হয় । এ ঘর হস্তান্তর উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, প্রধান অতিথি পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের এমপি মহিব্বুর রহমান মহিব, বিশেষ অতিথি পটুয়াখালী পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. জহির উদ্দিন আহম্মেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন প্রমুখ।
এদিকে, ঘরের চাবি ও জমির কাগজের সঙ্গে শাড়ি-লুঙ্গি পেয়ে খুশি উপকারভোগীরা। কথা হয় তাদেরই একজনের সঙ্গে, নাম নার্গিস বেগম (৪০)। পেশায় গৃহকর্মী। যার ছিল না এক টুকরো জমি কিংবা মাথা গোঁজার জন্য ঘর। অন্যের বাড়ি আর ভাড়া বাসায়ই কেটেছে জীবন। তিনি এ পর্যায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাহেরচর আশ্রয়ণ প্রকল্পে নির্মিত একটি ঘর পেয়েছেন। তার অনুভূতি জানতে চাইলে আনন্দঅশ্রæ চোখে নার্গিস বেগম বলেন, ‘মানুষের বাসায় কাজ করতাম। নিজের কোন জায়গা জমি ঘর আছিল না। ভাড়া ঘরে থাকতাম। ছেলে সন্তান নিয়া অনেক কষ্ট করছি। ওদের (সন্তানদের) মন ছোট থাকতো। এখন প্রধানমন্ত্রী আমারে ঘর দিছে। আমি অনেক খুশি।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থিত ৪০০ জনের হাতে ঘরের চাবি ও জমির মালিকানা কাগজ তুলে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসক স্যারের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে একটি শাড়ি ও একটি লুঙ্গি উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১২০ জনের চাবি ও কাগজপত্র পৌঁছে দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারের জন্য এ উপজেলায় মোট এক হাজার ৮৮৫টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরমধ্যে প্রথম পর্যায় ৪৯১, দ্বিতীয় পর্যায় ৭৭৬ ও তৃতীয় পর্যায় ৬১৮টি ঘর বরাদ্দ হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন