কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ঃ মুজিববর্ষে আশ্রয়হীনদের ঘর দেয়া আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় অনিয়ম দূর্নীতি ও টাকার বিনিময় ঘর পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ এখন সাধারণ ব্যাপার। গোটা উপজেলায় এই প্রকল্পের আওতায় যে সব ঘর নির্মান করা হয়েছে তার অধিকাংশই অনিয়ম দূর্নীতি ও কাজের মান নিয়ে জনসাধারনের মাঝে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবী কাজের মান সন্তোষ জনক। প্রমান সহ উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ফরিদঞ্জ গ্রামের মানুষিক প্রতিবন্ধী হতদরিদ্র ছিদ্দুকুর রহমানের নামে সরকারের দেয়া বিনা মুল্যে একটি ঘর বরাদ্দ হয়। অসহায় ছিদ্দিকুর রহমান ঐ ঘর বরাদ্ধ পাওয়ার জন্য কয়েক দফায় মোট ৮০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছে বলে অভিযোগ করেন। নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ এর অস্থায়ী অফিস সহকারী মো.ছগীর হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য মো.ইসাহাক হাওলাদার ও স্থানীয় কুদ্দুস এই টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছে বলে প্রতিবন্ধী ছিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী মিনারা বেগম কান্না বিজরিত কন্ঠে এই প্রতিবেদককে জানান, তিনি আরও জানান, ঐ টাকা আমার শেষ সম্বল গরু,ছাগল,হাস,মুরগী বিক্রী করে ৮০ হাজার টাকা পরিশোধ করি। এক বছর যেতে না যেতেই দেয়ালের প্লাস্টার ধ্বসে পরছে। মেঝে ফাটল ধরছে। আমি তো এই ঘর চেয়ে ছিলাম না । আমার আগের কুড়ের ঘরই ভাল ছিল। আল্লাহ রাস্তের ঘরে এত খরচ তা জানলে আমি কখনই এ ঘর নিতাম না। নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ এর অস্থায়ী অফিস সহকারী ছগীর হোসেন এর বিরুদ্ধে গোটা ইউনিয়ন ব্যাপী মানুষদের অভিযোগ এর শেষ নেই। তার পরও ঘুরে ফিরে আবারও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া তাকে স্ব-স্থানে বসানোয় এলাকাবাসীর মনে চাপা ক্ষোপ বিরাজ করছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. ছগীর হোসেন বলেন, আমি কারও কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি টাকা নেয়ার বিষয়টি আপনার কাছ থেকে শুনলাম। অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য মো.ইসাহাক হাওলাদারের ফোনে একাধিক ফোন দিলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মৎ শহিদুল হক বলেন টাকা নিয়ে থাকলে তা ফেরৎ দেওয়ার ব্যাবস্থা করে দিবো ও দোষীদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
Author Details
I am an Executive Engineer at University of Barishal. I am also a professional web developer and Technical Support Engineer.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন