এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার সন্ধ্যায় (২৪ অগস্ট) মহারাষ্ট্রের রায়গঢ়ে বাড়ি ভেঙে এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ভোররাত পর্যন্ত আরও ৬০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে উদ্ধারকারীদের মনে হয়েছে, ওই ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ জন আটকে রয়েছেন। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় উদ্ধারকাজ চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, ভেঙে পড়া পাঁচতলা ওই আবাসনে ৪৫টি ফ্ল্যাট ছিল। মুম্বই থেকে গাড়িতে প্রায় চার ঘণ্টা সময় লাগে রায়গঢ় জেলার মহাড়ে পৌঁছতে। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স, NDRF-এর তিনটি টিম রাতে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তার আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান উদ্ধব ঠাকরে সরকারের দুই মন্ত্রী অদিতি তাতকরে ও একনাথ শিন্ডে। রাতভর দুর্ঘটনাস্থলে থেকে উদ্ধারকাজে তদারকি করছেন দুই মন্ত্রী। সংবাদ সংস্থাকে অদিতি তাতকারে জানান, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ৬০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আরও ২৫-৩০ জন ওই ধ্বংস্তূপের নীচে আটকা পড়ে রয়েছেন বলে তাঁর আশঙ্কা। NDRF-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সোমবার (২৪ অগস্ট) সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ মহারাষ্ট্রের রায়গঢ় জেলার মহাড় তহশিলে পাঁচতলা অবাসিক বাড়িটি আচমকা ভেঙে পড়ে। এনডিআরএফের ওই আধিকারিক দাবি করেছিলেন, ধ্বংসস্তূপের নীচে ৫০ জন আটকে রয়েছেন। অদিত আরও জানান, এনডিআরএফের তিনটি টিম ঘটনাস্থলে রয়েছে। এ পর্যন্ত একজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে, কয়েক জনকে প্রাথমিক চিকিত্সার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। গুরুতর আহতদের মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মন্ত্রী জানান, দুর্ঘটনার পর বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টির জেরে আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাড়িটি। এই বিল্ডিংটি মাত্র ৬ বছরের পুরনো। দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয়রাও উদ্ধারকাজে হাত লাগান। আরও পড়ুন: রাতে জেলা আধিকারিকদের ফোন করে দুর্ঘটনার খোঁজখবর নেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। দ্রুত উদ্ধারকাজ শেষ করার নির্দেশ দেন। জানা গিয়েছে, পাঁচতলা ওই আবাসিক ভবনটি ভেঙে পড়ার সময় ৭০ জন ছুটে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হওয়ায়, প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। তা না হলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ত। মন্ত্রী আরও জানান, ওই আবাসনের অনেক পরিবারই বাড়িতে ছিল না। করোনাভাইরাস লকডাউনের কারণে নিজেদের হোমটাউনে ফিরে যায়। লোকজন কম থাকায় হতাহতের সংখ্যা কমবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই দুর্ঘটনাকে মর্মান্তিক হিসেবে উল্লেখ করে জানান, কেন্দ্রীয় উদ্ধারকারী দল, এনডিআরএফের ডিরেক্টর জেনারেলের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। উদ্ধারকাজ দ্রুত শেষ করতে সবরকম সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। রায়গঢ়ের জেলাশাসক নিধি চৌধুরি জানিয়েছেন, 'সোমবার হওয়ায় ওই বহুতলটিতে অনেকেই ছিলেন না। আমরা মনে করছি, ৪০-৪৫ জন ছিলেন বাড়িটিতে।' তবে, তবে, মহাড়ের বিধায়ক ভারত গোগাভেলের ধারণা, ভেঙে পড়া বহুতলটির ধ্বংসস্তূরে কমপক্ষে ১০০-১২৫ জন আটকে রয়েছেন। বিধায়ক জানান, মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছে। এদিকে এদিনই নাগপুরে একটি দোতলা বিল্ডিং ভেঙে পড়ার খবর সামনে আসে। যেখানে একজন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ভারতে প্রতি বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারী বর্ষণের কারণে একাধিক ছোট-বড় বাড়ি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। যার জেরে মাঝমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। গত জুলাইতেই মুম্বইয়ে ভারী বৃষ্টির কারণে একটি বহুতল ভেঙে কমপক্ষে ৯ জনের মৃত্যু হয়। এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। ।
from Bangla News: বেঙ্গলি খবর, Latest News in Bengali, Breaking News In Bengali, সর্বশেষ সংবাদ | Eisamay https://ift.tt/2YwhA3X
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন