বরিশালের টাইমস, জাতীয়, রাজনীতি, অর্থনীতি, সারা বাংলা, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, চাকরি, বিনোদন, সাতসতেরো, ক্যাম্পাস, অন্যান্য

Breaking

রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০২০

আপনার কোভিড টেস্ট পজিটিভ? উদ্বেগ নয়, জাস্ট ডায়াল করুন এই toll-free নম্বরে

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: আপনার কোভিড টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে? বা, আপনার পরিচিত কারও? কোথায় ভর্তি হবেন বা ভর্তি করবেন, হাসপাতাল ফিরিয়ে দেবে কি না, এসব সাতপাঁচ ভেবে দুশ্চিন্তা করছেন? কী করণীয়, বাড়িতেই কোয়ারানটিনে থাকা যাবে কি না, কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না? ঘেঁটে ঘণ্ট লাগছে। যাবতীয় দুশ্চিন্তা-উদ্বেগ ঝেরে ফলে জাস্ট কল করুন একটি টোল-ফ্রি নম্বরে। কেভিড নিয়ে আপনার যাবতীয় সমস্যার মুশকিল আসান এই টোল-ফ্রি নাম্বার। সরকারি সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হবেন না। নবান্ন থেকে এমনটাই আশ্বস্ত করা হয়েছে। শনিবার পশ্চিমবঙ্গে রেকর্ড করোনা সংক্রমণ হয়েছে। ২,১৯৮ পজিটিভ কোভিড কেস ধরা পড়ে। আর এই দিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার প্রতিশ্রুতির বার্তা দিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার কথায়, 'প্রস্তুতির দিক থেকে কোভিড-১৯ এর থেকে আমাদের গতি কিন্তু বেশি।' আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে যে গতিতে বাংলায় সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে তা নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন। রাজ্যের একাধিক হাসপাতাল থেকে করোনা রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠায়, রাজ্য সরকার বারবার নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বেড না-থাকার দোহাই দেওয়া হয়। রাজ্য সরকার এদিন আবার দাবি করে, পর্যাপ্ত সংখ্যক বেড রয়েছে। হাসপাতালগুলির রোগী ফিরিয়ে দেওয়ার কোনও কারণ নেই। রাজীব সিনহা জানান, রাজ্য সরকার একটি টোল-ফ্রি নম্বর চালু করেছে। ২৪x৭ ঘণ্টা চালু থাকবে। তাঁর কথায়, কোভিডে সহযোগিতার জন্য এটি ওয়ান পয়েন্ট সলিউশন। ফোন করে রোগের লক্ষণ জানানো থেকে হাসপাতালের বেড-- যে কোনও প্রয়োজনে নির্দ্বিধায় যখন-খুশি ফোন করা যাবে। রাজ্য সরকারের দেওয়া টোল-ফ্রি নম্বরটি হল: 1800-313-444-222 রাজ্যের মুখ্যসচিব বলেন, 'এই টোল-ফ্রি নম্বরটি আগামী বেশ কয়েক সপ্তাহের জন্য চালু থাকবে। কিন্তু, আতঙ্কিত হওয়ার মতো কারণ নেই। আমরা কোভিড টেস্টের হার বাড়িয়েছি। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ১৩ হাজার করে টেস্ট হচ্ছে। সামনের দিনগুলিতে আমাদের লক্ষ্য দিনে ২৫ হাজার টেস্ট করা।' রাজীব সিনহা বলেন, কোনওরমক ধন্দে না পড়ে, এই টোল-ফ্রি নম্বরে ফোন করুন। সাহায্য পাবেন। সেইসঙ্গে তিনি যোগ করেন, 'তবে, তিনি নির্দিষ্ট কোনও হাসপাতালের প্রতি পছন্দ বা অ-পছন্দ থাকা উচিত নয়। রোগীর উপসর্গ অনুযায়ী কাছের উপযুক্ত হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে।' যাঁরা বাড়িতে আইসোলেশনে থাকবেন, তাঁদের জন্যও একই টোল-ফ্রি নম্বর। হোম আইসোলেশনে থাকাকালীন চিকিত্‍‌সা সংক্রান্ত কিছু প্রয়োজন হলে, বা অ্যাম্বুল্যান্সের দরকার পড়লে, তাঁরাও নির্দ্বিধায় এই নম্বরটিতে ফোন করতে পারবেন। রাজ্যের মুখ্যসচিব জানান, মোট সক্রিয় আক্রান্তের ১৫ শতাংশের উপসর্গ সামান্যই। ৮৭ শতাংশের কাছাকাছি আক্রান্ত উপসর্গহীন। অ্যাক্টিভ আক্রান্তের মধ্যে ৬৬২ জনের অবস্থা গুরুতর। মুখ্যসচিবের যুক্তি, পশ্চিমবঙ্গে ১০ কোটি মানুষের মধ্যে যদি ৬৬০ জনের শারীরিক অবস্থা করোনার কারণে গুরুতর হয়, তা হলে বলা যায় না পরিস্থিতি অ্যালার্মিং বা ভয়ের। রাজ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণেই আছে। হাসপাতালে বেডেরও কোনও সমস্যা নেই।


from Bangla News: বেঙ্গলি খবর, Latest News in Bengali, Breaking News In Bengali, সর্বশেষ সংবাদ | Eisamay https://ift.tt/2OGOqJK

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Pages