বরিশালের টাইমস, জাতীয়, রাজনীতি, অর্থনীতি, সারা বাংলা, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, চাকরি, বিনোদন, সাতসতেরো, ক্যাম্পাস, অন্যান্য

Breaking

রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০২০

আর এক সপ্তাহে দিল্লি সংক্রমণের শিখরে, দক্ষিণ ভারতের অপেক্ষা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: করোনাভাইরাসের বর্তমান ভীতিজনক, বাড়াবাড়ি রকম সংক্রমণের একটা পর্যায়ে পৌঁছে, সকলেই এখন 'শিখর'-এ স্বস্তি খুঁজছেন। কোভিড কবে Peak বা শিখর ছোঁবে এ নিয়ে চর্চা সংক্রমণের গোড়া থেকেই চলছিল। তবে, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে গোটা দেশে জল্পনা আরও বেড়েছে। এই 'পিক' নিয়ে আগ্রহের এত কারণ অবশ্যই নিজেদের স্বস্তি থেকে। একবার শিখরে পৌছে গেলে, সংক্রমণের রেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী থেকে বাঁক খেয়ে নিম্নমুখী হবে। গত কয়েক দিন ধরে লাগাতার দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ৫০ হাজারের কাছাকাছি। শনিবার ছাড়া টানা কয়েক দিন ধরে দৈনিক এক হাজারের উপর মৃত্যু হয়েছে, তখন 'শিখর' ছোঁয়া অনেক দূরের পথ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দেশজোড়া এই উদ্বেগের মধ্যে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দিল্লিতে কিন্তু কোভিড শিখর ছুঁয়ে ফেলব। সেটা হতে পারে চলতি জুলাইয়ের শেষে, কিংবা বড়জোর অগস্টের প্রথম সপ্তাহে। পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি ডাক্তার কে শ্রীনাথ রেড্ডি সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, ভারতে করোনারভাইরাসের প্রকোপ সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সর্বোচ্চ হবে। তবে, এ-ও জানিয়েছিলেন এক একটা রাজ্যে এক-একসময় প্রকোপ সর্বোচ্চ সীমা ছোঁবে। সেই দাবির বিস্তৃত ব্যাখ্যা দিলেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক হেলথের আর এক শিক্ষক জিভিএস মূর্তি। তিনি বলেন,ভারতের মতো একটা বড় দেশে একসঙ্গে সর্বত্র শিখরে পৌঁছতে পারে না। কোন রাজ্যে কবে থেকে সংক্রমণ শুরু হয়েছে, সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছনো তার উপর নির্ভর করবে। রেড্ডির ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে সহমত পোষণ করে মূর্তি জানান, অগস্টের শুরুর মধ্যেই দিল্লি শিখর ছুঁয়ে ফেলবে। সেখানে তামিলনাড়ু, কর্নাটক, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রে প্রকোপের শিখর ছুঁতে সময় লেগে যাবে সেপ্টেম্বর। তাঁর কথায়, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও কর্নাটক সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি নাগাদ সর্বোচ্চ সংখ্যক কোভিড সংক্রমণের জায়গায় পৌঁছে যাবে। ফলে, এখনও রোজ যে বিপুল সংক্রমণ হচ্ছে, মধ্য-সেপ্টেম্বরের পর তা আর হবে না। তাঁর কথা অনুযায়ী, তামিলনাড়ুর ক্ষেত্রে পিকে-ওঠা একটু আগেই হবে। এর মধ্যে ২ লাখের উপর সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ছাড়িয়ে গিয়েছে। মূর্তির হিসেব অগস্টের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যেই সর্বোচ্চ প্রকোপে পৌঁছে যাবে। তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সি বিজয়াভাস্কর রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য পরিযায়ী শ্রমিক, বিশেষত মহারাষ্ট্রের শ্রমিকদের দিকে আঙুল তুলেছেন। কর্নাটক ও তেলেঙ্গানার ক্ষেত্রে একাধিক নেতিবাচক দিক তাঁরা সামনে এনেছেন। কর্নাটকে ইতিমধ্যে ৯১ হাজারের উপর আক্রান্ত। কিন্তু, উদ্বেগের কারণ হল এখনকার সুস্থতার হার। জাতীয় ক্ষেত্রে যখন সুস্থতার হার ৬৩.৫৪ শতাংশ, কর্নাটক রাজ্যের ক্ষেত্রে তা মোটে ৩৭ শতাংশ। ফলে, সময় লাগবে। আবার তেলেঙ্গানার ক্ষেত্রে কোভিড টেস্টের হার অত্যন্ত কম। অথচ, তেলেঙ্গান জুন থেকেই কোভিডের হাব। অথচ, এ পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৭১ টেস্ট হয়েছে। তবে, সেপ্টেম্বর শেষ হওয়ার আগে তেলেঙ্গানাতেও কোভিডের প্রকোপ শিখর ছুঁয়ে ফেলবে বলেই ধারণা। কেরালার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, ওরা মনে করছে তাদের রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ শেষ হয়েছে। আদতে তা নয়। মূর্তির সতর্ক করার কারণ, গত ১০ দিনের উপর আবার সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়া। শেষ চার দিনের মধ্যে তিন দিনই হাজারের উপর সংক্রমণ হয়েছে। তাই এক্ষুনি বিশেষজ্ঞরা কোনও আশা দেখছেন না। তাঁদের হিসেবে ঝাড়খণ্ড ও ছত্তীসগঢ়ে পিক আসতে আসতে সেপ্টেম্বরের শেষ। এমনকী অক্টোবরও গড়িয়ে যেতে পারে। এই দুই রাজ্যে সংক্রমণ অনেক পরে শুরু হয়েছে। দিল্লি, মুম্বই থেকে অতিথি শ্রমিকরা ফেরার পর। বিহার ও উত্তরপ্রদেশের ক্ষেত্রে তাঁদের ভবিষ্যদ্বাণী, জনসংখ্যার তুলনায় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংক্রমণ ছিল অনেক কম। লকডাউন ওঠার পর পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরলে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিহারে আক্রান্ত ছিল মাত্র ৪২৫ জন। কিন্তু এখন বেড়ে হয়েছে ৩৬ হাজার ৩১৪। কিন্তু, মাত্র ৪.৪২ লক্ষ টেস্ট হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে সেখানে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ৬৩ হাজার ৭৪২ জন। ফলে, এই রাজ্যগুলির পিকে পৌঁছতেও সময় লেগে যাবে।


from Bangla News: বেঙ্গলি খবর, Latest News in Bengali, Breaking News In Bengali, সর্বশেষ সংবাদ | Eisamay https://ift.tt/2CEooEX

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Pages