বরিশালের টাইমস, জাতীয়, রাজনীতি, অর্থনীতি, সারা বাংলা, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, চাকরি, বিনোদন, সাতসতেরো, ক্যাম্পাস, অন্যান্য

Breaking

রবিবার, ১৯ মে, ২০১৯

ভোট-রসনায় বিরিয়ানির টক্করে সাদা ভাত

শ্যামগোপাল রায়বুথকর্মী ও এজেন্টদের জন্য ৪০০ প্যাকেট বিরিয়ানির অর্ডার দিয়েছেন উল্টোঙার তৃণমূল কাউন্সিলর শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু। বিরাটির তৃণমূল কাউন্সিলর মহুয়া শীল থেকে সল্টলেকের কাউন্সিলর তুলসী সিনহা রায়, কেউ কম যান না। তাঁরা ৫০০ প্যাকেট বিরিয়ানির বরাত দিয়েছেন স্থানীয় এক দোকানদারকে। মাংসের ঝোল-ভাত খাওয়াবেন, তাই ৬০ কিলো চিকেনের অর্ডার দিয়ে রেখেছেন মানিকতলার কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায়। মিনিট দশেক হাঁটলেই সারা শরীর ভিজে যাচ্ছে ঘামে। হওয়াটাই স্বাভাবিক, কারণ শহরে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৩৫-৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। গরম থেকে বাঁচতে খাবারে তেল-মশলা এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা৷ গ্লুকোজ আর ওআরএস জলেই শরীর ঠান্ডা রাখার কথা বলছেন তাঁরা। তবে রবিবারের ভোটের সকালে প্রখর দাবদাহেও কর্মীদের চাঙ্গা রাখার 'টনিক' হিসেবে মহানগরের ভোট ম্যানেজাররা শক্তি-বর্ধক হিসাবে ভরসা রাখছেন জিভে জল আনা নবাবি বিরিয়ানিতেই৷ বাঙুরের তৃণমূল কাউন্সিলর মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলছেন, 'বিরিয়ানি খেলে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকে৷ প্যাকেট বিলিতেও সুবিধা৷ তাই মেনুতে বিরিয়ানি রেখেছি।' উত্তর থেকে দক্ষিণ, শহরের বিরিয়ানির দোকানগুলির বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, রবিবারে তাঁরা অর্ডার পেয়েছেন ভালোই। ট্যাংরার সেন রেস্তোরাঁর মালিক বিজয় সেন জানালেন, 'তৃণমূলের পক্ষ থেকে ৫০০ প্যাকেট বিরিয়ানির অর্ডার পেয়েছেন।' মানিকতলার একটি বিরিয়ানির দোকানের মালিক সৌমিক ঘোষ ৩৫০ প্যাকেট ও বেহালার চাইনিজ রেস্তোরাঁর মালিক অর্ঘ্য ঘোষ ৩০০ প্যাকেট বিরিয়ানির অর্ডার পেয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য,' কর্মীর সংখ্যা কম, তাই বেশি অর্ডার নিতে পারিনি।' এই গরমে বিরিয়ানির 'ধকল' কর্মীরা নিতে পারবেন তো? 'একদিন খেলে কী আর হবে? পাল্টা প্রশ্ন তৃণমূলের কাউন্সিলর শান্তিরঞ্জন কুণ্ডুর। দুপুরের খাবারের তালিকায় পিছনেই রয়েছে মুরগির ঝোল আর ভাত। তবে কোথাও-কোথাও ডিম-ভাতেই কর্মীদের চাঙ্গা রাখবেন নেতারা। কোথাও-কোথাও আবার আজ, রবিবার সকাল থেকে কর্মীদের দু'বেলার প্যাকেট মেনুও বরাদ্দ করে ফেলেছে ডান-বাম প্রায় সব পক্ষই। আবার, এই গরমে কর্মীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে জন্য সকালে লুচি-তরকারি ও দুপুরে খাবার দেওয়ার মাঝে পর্যাপ্ত গ্লুকোজ জলও পরিবেশনের ভারও দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি ক্যাটারারকে। যাদবপুরের তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত অবশ্য ব্রেকফাস্টে কেক, স্যান্ডুইচ এবং দুপুরে ৭৫০ জন কর্মীদের জন্য ভাত এবং চিলি চিকেনের ব্যবস্থা রাখছেন। একই পথে হাঁটছেন মানিকতলা এলাকার কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায়ও। তিনি জানিয়েছেন, '৬০ কেজি চিকেন অর্ডার দিয়েছি। গরমে ভাত ও পাতলা করে চিকেনের ঝোলের ব্যবস্থা করেছি।' দমদমে শমীক ভট্টাচার্যের অন্যতম সৈনিক উত্তর শহরতলির বিজেপি সভাপতি মানস ভট্টাচার্য জানাচ্ছেন, 'দমদমের ১৭৬১টি বুথের ২৫০০ কর্মীদের জন্য সকালে পুরি-সব্জি ও দুপুরে আলু পোস্ত, ডিমের ঝোল-ভাত প্যাকেটে পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছে।' বরাহনগরের তৃণমূল কাউন্সিলর দিলীপনারায়ণ ঘোষ ৩০০ জন দলীয় কর্মী ও এজেন্টদের জন্য চিলি চিকেন ও ফ্রায়েড রাইসের ব্যবস্থা করেছেন। সিপিএমের আয়োজন অবশ্য কম। এজেন্টদের জন্য জলের বোতল, লজেন্স, বিস্কুট ও কেকের প্যাকেট দেওয়া হবে। উত্তর দমদমের সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যের কথায়, 'বিভিন্ন স্বাদের লজেন্স মুখে থাকলে গরমের আঁচ থেকে কিছুটা আরাম মিলবে৷ যাঁরা দীর্ঘক্ষণ বুথে থাকবেন, এতে তাঁদের একঘেয়েমি কেটে যাবে৷' উত্তর কলকাতা, সল্টলেকের দীর্ঘ দিনের ধরে ক্যাটারিং ব্যবসায়ী রাজা বণিক জানালেন, শিয়ালদহ-সল্টলেক-মানিকতলা মিলিয়ে ৭টি অর্ডার পেয়েছি। খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত গ্লুকোজ, ওআরএস জলের ব্যবস্থাও রাখছি।'

from Eisamay http://bit.ly/2WcZ1Sj

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Pages