এম লোকমান হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক :ভোলার চরফ্যাশনে জনতা বাজার ডিগ্রী কলেজের এমপিও বঞ্চিত শিক্ষক কর্মচারীরা বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে।বৃহস্পতিবার ১৪ জুলাই দুপুরে জনতা বাজার ডিগ্রী কলেজ গেইটে এমপিও বঞ্চিত শিক্ষকরা এ কর্মসূচী পালন করে।
চরফ্যাশন জনতা বাজার কলেজ ডিগ্রী স্তরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধিভূক্ত হওয়ার পরে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা দীর্ঘদিনযাবৎ বিল বেতন ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সদ্য ঘোষিত এমপিও থেকে বঞ্চিত জনতা বাজার ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ সমাবেশে
চরফ্যাশন উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান সোহাগ বলেন, অধ্যক্ষ মোঃ ইউনুস শরীফের ইচ্ছাকৃত ভূলের কারনে এমপিও আবেদনে ওয়েব সাইডে জনতা বাজার কলেজের পূর্ব নাম জনতা বাজার শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজ সংশোধন না করার কারনে সদ্য ঘোষিত এমপিও থেকে বঞ্চিত হয়েছে শিক্ষকরা।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল আহসান আসিব বলেন,তিনি প্রাতিষ্ঠানিক দূর্ণীতি করেছেন, অধ্যক্ষ পদে থাকার কোন যোগ্যতা নেই।কলেজ গভর্নিং বডির তাকে এক সাপ্তাহের মধ্যে অপসারন না করলে ছাত্রলীগ ব্যবস্হা নিবে।
অত্র কলেজের এমপিও বঞ্চিত শিক্ষকদের পক্ষে প্রভাষক রেজাউল করিম রেজা বলেন,অধ্যক্ষের গাফলতি আর বারবার ইচ্ছাকুত ভূলের কারনেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যান বেইস ওয়েবসাইডে পূর্ব নাম সংশোধন না হওয়ায় ২০১৯ ও ২০২২ সালে জনতা বাজার ডিগ্রী কলেজ ডিগ্রী পর্যায়ে কলেজ এমপিও হয়নি।এজন্য অধ্যক্ষ ইউনুস শরীফ নিজে দায়ী।
জনতা বাজার ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আজাদ হাওলাদার বলেন,অধ্যক্ষ ইউনুস শরীফ বিভিন্ন তহবিলের নামে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে নিজেই লুটপাট করেছেন।
অধ্যক্ষ মোঃ ইউনুস শরীফ বলেন,আমি ইচ্ছাকৃত ভূল করিনি।জনতা বাজার কলেজ ডিগ্রী পর্যায়ে এমপিও হযনি এজন্য আমি নিজেও ব্যথিত। গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তে পূর্বের নাম পরিবর্তনের সকল কাগজপত্র সংশ্লিস্ট দপ্তরে দেয়ার পর ব্যান বেইসের ওয়েবসাইডে পূর্বের নাম পরিবর্তন করেনি। এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা। ২১জুলাইয়ের মধ্য সংশোধিত এমপিওর জন্য পূণরায় আবেদন নিবে।নাম সংশোধনের সংশ্লিস্ট সকল কাগজপত্রসহ এমপিওর জন্য আপিল করবো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন